Advertisement
E-Paper

ধৃত বাংলাদেশি মাদক পাচারকারী

পুলিশ কমিশনার হয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে জোর দিয়েছিলেন অনুজ শর্মা। গোয়েন্দা বিভাগের সব শাখার সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন তিনি। তার পর থেকেই শহর জুড়ে মাদক অভিযানে নামে লালবাজার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৭
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে কলকাতার বিভিন্ন হোটেল এবং গেস্ট হাউসে। এ ভাবেই মাদক পাচারের ব্যবসা ফেঁদে বসা এক বাংলাদেশি যুবককে বুধবার রাতে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতের নাম তাপস আহমেদ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে ৪০ গ্রাম মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

পুলিশ কমিশনার হয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে জোর দিয়েছিলেন অনুজ শর্মা। গোয়েন্দা বিভাগের সব শাখার সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন তিনি। তার পর থেকেই শহর জুড়ে মাদক অভিযানে নামে লালবাজার। সম্প্রতি স্কুল-কলেজে মাদক পাচার-রোধে বড়সড় সাফল্য পায় কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার হয় মাদক পাচারে জড়িত বেশ কয়েক জন। সেই সঙ্গে শহরের স্কুল-কলেজের প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেন লালবাজারের কর্তারা। মাদক বিরোধী সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই বুধবার রাতে তাপসকে ধরতে অভিযান চালান গোয়েন্দারা।

লালবাজারের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কলিন লেন, মার্কাস স্ট্রিট এবং ফ্রি-স্কুল স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা চত্বরে কিছু দিন থেকেই মাদকচক্রীরা সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। সেই সূত্রেই তাপসের কথা জানতে পারে লালবাজার। এর পরে বুধবার কলিন লেনে তার আস্তানায় হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে তাপসকে। উদ্ধার হয় প্রায় ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তাপসকে জেরা করে জানা যায়, সে আদতে ঢাকার বাসিন্দা। তবে কয়েক বছর ধরে কলকাতায় থাকছে। মায়ানমার, বাংলাদেশ হয়ে মাদক কলকাতায় নিয়ে এসে ধর্মতলা এলাকার নানা হোটেলে চালান দিত তাপস। তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ওই সব হোটেলের গ্রাহকদের। পুলিশের সন্দেহ, এ কাজে তাপসের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে কয়েকটি হোটেলের কর্মী এবং মালিকেরা। তাদের খোঁজ

করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির সময়ে তাপস কোনও বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। ফলে কী ভাবে মাদক নিয়ে সে কলকাতা থেকে দেশের বাইরে যাতায়াত করত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তাপসকে গ্রেফতার করে তাকে প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানায় ও পরে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Drug Smuggling Drugs
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy