কলকাতার আনন্দপুরে একটি হোটেল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল পানশালার এক নর্তকীকে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই এই মৃত্যু।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম শ্রেয়া বর্মা। তিনি পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। রবিবার রাতে এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে তিনি আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার ভোরে পুরুষ বন্ধুটি বেরিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন ওই তরুণী। পুরুষ বন্ধুটিকে ফোন করে ডাকেন তিনি। ওই যুবকই সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় থাকা ওই তরুণীকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্তও করা হয়েছে। সেখানে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। তবে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি তিলজলা এলাকায়।
সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আনন্দপুর থানা এলাকাতেই বাইপাসের ধারের এক পিকনিক স্পটে গাছের ডাল থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি মাটি থেকে ৫০-৬০ ফুট উঁচুতে ঝুলছিল। গলায় ছিল গামছার ফাঁস। দেহটিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। সেই মৃত্যুরহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। এই অবস্থায় আনন্দপুরে আর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত হল।