‘‘মাঝেরহাট সেতু উদ্বোধন হবে শুনছি। আমার ছেলেকে কি কেউ মনে রেখেছে? বোধহয় না, তা হলে তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত সরকার। নাই করুক, কিন্তু ছেলের নামে সেতুর নামকরণ হোক এটাই চাই। অন্তত ওর ছবি দিয়ে একটা ফলক বসুক ওখানে!’’
কয়েক ঘণ্টা পর নবরূপে উদ্বোধন হতে চলেছে মাঝেরহাট সেতু। তার ঠিক আগেই অভিমানের সুর সৌমেন বাগের মা অনিতার গলায়। সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ যায় বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগের। ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে দুর্ঘটনার দিনের স্মৃতি আউড়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
ছেলের মৃত্যুর পর, শীলপাড়ায় বাপের বাড়িতেই স্বামী প্রদীপ বাগের সঙ্গে থাকেন অনিতা। প্রদীপকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকাও। অনিতার প্রশ্ন, “টাকা দিলেই কি সব ভুলে থাকা যায়? সাময়িক সুরাহা হয় ঠিকই। কিন্তু এটুকু সম্মান কি পাওয়া উচিত নয় সৌমেনের? ছেলে ওষুধের দোকানে কাজ করে সংসার চালাত। বিয়ের কথা বলতে ও বলেছিল, মা আমি রোজগার করে তোমাদের এবং দাদুকে আগে ভাল রাখি। তার পর সব হবে।”