Advertisement
E-Paper

রুদ্ধ নিকাশি নিয়ে উদাসীন বিধাননগর

বাসিন্দাদের বড় অংশের সচেতনতার অভাবকে মশাবাহিত রোগের সাফল্য না আসার বড় কারণ বলে হামেশাই দাবি করছে পুরসভা। সেখানে তারাই কেন উদাসীন? এই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দাদের বড় অংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১২
অবরুদ্ধ: প্লাস্টিকে ভরেছে বিধাননগরের ত্রিনাথ পল্লির নিকাশিনালা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

অবরুদ্ধ: প্লাস্টিকে ভরেছে বিধাননগরের ত্রিনাথ পল্লির নিকাশিনালা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

ছ’কিলোমিটার একটি নিকাশিনালা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার জেরে এলাকায়
বাড়ছে মশার প্রকোপ। অথচ সে বিষয়ে বিধাননগর পুরসভা কতটা অবগত? যেখানে বাসিন্দাদের বড় অংশের সচেতনতার অভাবকে মশাবাহিত রোগের সাফল্য না আসার বড় কারণ বলে হামেশাই দাবি করছে পুরসভা। সেখানে তারাই কেন উদাসীন? এই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দাদের বড় অংশ।

বিধাননগর পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘ওই ওয়ার্ডের ত্রিনাথ পল্লি এলাকায় একটি নিকাশিনালা রয়েছে। তা চলে গিয়েছে ছয়নাভি পর্যন্ত।’’ প্রায় ছ’কিলোমিটারের ওই নিকাশিনালা দীর্ঘ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল ওই নিকাশির এক দিকে ঝোপজঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এমন যে কোনও কোনও জায়গায় খালি চোখে সেটিকে নিকাশি বলে বোঝার উপায় নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশির সংস্কার নিয়ে পুরপ্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। ফলে এলাকায় মশার উপদ্রব খুবই বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অগস্টে বিধাননগর পুর এলাকায় ৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

এমন পরিস্থিতি কেন? ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর সর্দারের ব্যাখ্যা, বানতলা লকগেট থেকে ত্রিনাথ পল্লি কালভার্ট পর্যন্ত খালটি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আবর্জনা ফেলা হয়। অবৈধ ভাবে বসতি গজিয়ে ওঠায় সেই খাল অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়েছে। এমনই সঙ্কীর্ণ অবস্থা যে খাল কাটার গাড়িও ঢোকানো যাচ্ছে না সেখানে। তিনি জানান, ওয়ার্ডের তরফে মশার মারতে স্প্রে দেওয়া হয়। স্থানীয় ভাবে পরিষ্কারেরও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হওয়ার নয়। গোটা খাল থেকে পলি নিষ্কাশন করতে বিপুল টাকা খরচ হবে। যা একটি ওয়ার্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিধাননগর পুরসভা এবং সেচ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকেও জানানো হয়েছে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা জানান, সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত ভাবে সমাধান নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দীর্ঘ নিকাশির সংস্কার ব্যয়বহুল। কী ভাবে প্রকল্পটি রূপায়িত হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।

Bidhannagar Canal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy