এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি সব্যসাচী। তিনি বলেন, ‘‘আমি কৃষ্ণাদির সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানাব। উনি আমাকে কিছু বলেননি। সংবাদমাধ্যমের থেকে শুনে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ এ দিন রাজারহাটের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মেয়র।
ফাইল চিত্র।
হকার প্রসঙ্গে ‘ধীরে চলো’ নীতিতেই এগোতে চায় বিধাননগর পুরসভা। সেই সঙ্গে অতীতে বিধাননগরে হকার-উচ্ছেদ করা নিয়ে কিছুটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেই মনে করেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
মেয়র হিসেবে গত শুক্রবার শপথ নেওয়ার পরে মঙ্গলবার নতুন বোর্ডের মেয়র পারিষদ এবং বরো চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন কৃষ্ণা। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁরা বুলডোজ়ার চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করে কাউকে আর্থিক সমস্যায় ফেলার পক্ষপাতী নন। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে, বিধাননগরে তারের আকাশজাল কত দিনে সরবে? এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘‘কেব্লের জট ছাড়ানোর জন্য সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে নেতাজি পার্ক পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ লাইন তৈরির একটি পাইলট প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার জন্য সময় লাগবে। এই পেশার সঙ্গে বহু যুবকের রুজি-রোজগার জড়িত। তাই বুলডোজ়ার চালিয়ে উচ্ছেদ করার কথা আমরা ভাবি না।’’
উল্লেখ্য, আগের বোর্ড ক্ষমতায় থাকাকালীন অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন হয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সেই সময়ে রাতারাতি সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তা থেকে হকারদের উচ্ছেদ করেছিল পুরসভা। তখন মেয়র ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর নাম না করেই এ দিন পুরসভার হকার-উচ্ছেদ নীতির বিরোধিতা করেন কৃষ্ণা। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সময়ে হকার উচ্ছেদের নিশ্চয়ই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যে পদ্ধতিতে উচ্ছেদ হয়েছিল, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। ওই হকারদের অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। এখন তাঁরা কর্মহীন, কিন্তু ঋণ শোধ করে চলেছেন। তবে অতীতের কথা এখন আর না তোলাই ভাল।’’
এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি সব্যসাচী। তিনি বলেন, ‘‘আমি কৃষ্ণাদির সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানাব। উনি আমাকে কিছু বলেননি। সংবাদমাধ্যমের থেকে শুনে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ এ দিন রাজারহাটের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মেয়র। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নতুন বোর্ডে সবাইকে বিধাননগর পুরসভার সদস্য হিসেবে কাজ করতে হবে। সল্টলেক, রাজারহাটকে আলাদা করে দেখলে চলবে না।’’
এ দিন ডেপুটি মেয়র ও অন্য মেয়র পারিষদদের নামও ঘোষণা করা হয়। নতুন পুরবোর্ডে ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অনিতা মণ্ডল। মেয়র পারিষদ হচ্ছেন দেবরাজ চক্রবর্তী, বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তুলসী সিংহরায়, রহিমা বিবি (মণ্ডল), আরাত্রিকা ভট্টাচার্য, সুজিত মণ্ডল ও রাজেশ চিরিমার।
প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রণয় রায়কে এ বার দু’নম্বর বরোর চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এ ছাড়া বরো চেয়ারম্যান হচ্ছেন শাহনওয়াজ আলি মণ্ডল, পিয়ালি সরকার, মণীশ মুখোপাধ্যায়, রঞ্জন পোদ্দার ও মিনু চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy