কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিরোধীরা। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি এবং কংগ্রেস। পথ অবরোধও করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে কয়েক জনকে পুলিশ আটক করেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযুক্ত, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবারই। পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র এবং অস্থায়ী কর্মী। বাকি দু’জন কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর-কাণ্ডের বছরখানেকের মধ্যেই শহরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের ঘটনায় শাসকদল এবং সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:
-
কসবার কলেজে ধর্ষণ: তুলনা টানা হচ্ছে আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে! বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল বিভিন্ন বিরোধী সংগঠন
-
কসবার আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ মহিলা কমিশনের! তিন দিনের মধ্যে সিপির কাছে রিপোর্ট তলব
-
কসবার কলেজে ধর্ষণ: মূল অভিযুক্ত ‘এম’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা? কী বলছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন?
বিজেপি-কংগ্রেসের মতো ডিএসও, এসএফআই-ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। ডিএসও মিছিল করেছে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের সামনে। শাসকদলকে বিঁধে এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-র বক্তব্য, ‘‘সাউথ কলকাতা ল কলেজকে কেন্দ্র করে অপরাধচক্র চালিয়ে এসেছে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন সকলে চুপ। আরজি করের ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা কোনও কলেজ ক্যাম্পাসে সুরক্ষিত নন। একই ঘটনা ঘটল সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে।’’ মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলেজে ২০-৩০টি দুর্নীতির অভিযোগ, ধর্ষণের হুমকি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে এসএফআই।
এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) দাবি করেছে, মূল অভিযুক্ত দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদকপদে রয়েছেন। বাকিদের সঙ্গেও টিএমসিপির যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন। এক নেতা বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত ভোট লুটেও হাত পাকিয়েছে।’’
অভিযুক্তেরা সংগঠনের কোনও পদে নেই বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূলও। দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও যুব সংগঠনের সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে অভিযুক্তদের সঙ্গে টিএমসিপির যোগের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা ছাত্র পরিষদের পদাধিকারী নন। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাক বা না-থাক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সে বর্তমানে কলেজের কর্মচারী। ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত নয়। যদি এই ঘটনা এবং অভিযোগ সত্যি হয়, তার বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ আইনানুগ ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয়, তার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ লড়বে।’’