পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়। এ নিয়ে আগেও দিলীপকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। —ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না? কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে শহিদ মিনার চত্বরে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ করলেন দিলীপও। তাঁর চ্যালেঞ্জ, প্রয়োজনে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে রাজ্য। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়। এ নিয়ে আগেও দিলীপকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। দিলীপও পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সিআইডি দিয়েও তদন্ত করতে পারে রাজ্য। বুধবার আবার শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে দিলীপকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘‘কেন দিলীপ ঘোষের ‘কাস্টোডিয়াল ইন্টারোগেশন’ হবে না? বিজেপি করলে আইন আলাদা?’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমরা চাই যেখানে দুর্নীতি রয়েছে, শাস্তি হোক। যেখানে অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত হোক। কিন্তু ‘পিক অ্যান্ড চুজ়’ হবে না।’’
এ নিয়ে দিলীপ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের এত ফালতু সময় নেই যে তারা আমার পিছনে সময় দেবে। তারা জানে কোথায় গেলে মালকড়ির সন্ধান পাওয়া যাবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এখন অভিযোগ তুলছেন (অভিষেক)। ওঁদের হাতে তো পুলিশ আছে। প্রশাসন আছে। ওঁরা সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করে তদন্ত করুন। তা ছাড়া আমার বাড়ির দলিল আমি কাকে দেব সেটা কি কেউ ঠিক করে দেবেন? আমি রাস্তাতেও ফেলে দিতে পারি। এই বাড়ি নিয়ে কিছু থাকলে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন। সেখানে সমস্ত নথি আছে।’’ এর পর তিনি কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।
বুধবার বিজেপির সভায় দিলীপ স্লোগান তোলেন, ‘‘চোর ধরো তিহাড় জেলে ভরো। এখন আর আলিপুর, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না। সব জায়গায় জেল বাড়ানো হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যে আবার কংগ্রেস প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy