বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।—ফাইল চিত্র।
মিউনিসিপ্যালিটি থেকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হওয়ার পরে সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও সম্পত্তিকর নিয়ে জটিলতা কাটেনি বিধাননগরে। সল্টলেক এলাকার সম্পত্তিকরের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। অন্য দিকে, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও পুরনো হারে কর আদায় চলছে। এই অবস্থায় সম্পত্তিকর থেকে পুরসভার আয় বাড়েনি বলে অভিযোগ করেছিলেন পুরকর্তাদের একাংশ। বিষয়টি বিবেচনার জন্য রাজ্য মূল্যায়ন পর্ষদের কাছে আবেদন করেছিল পুরসভা।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি মূল্যায়ন পর্ষদ জানিয়েছে, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডই নয়, এর সঙ্গে আরও তিনটি সংযুক্ত এলাকাতেও মূল্যায়নের কাজ করা হবে। যার ফলে সার্বিক ভাবে মোট ৩০টি ওয়ার্ডে সম্পত্তিকরের পরিমাণ বাড়তে পারে।
এক পুরকর্তা জানান, কর্পোরেশন তৈরি হওয়ার পরে মূল্যায়ন পর্ষদের কাছে আগের মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার সম্পত্তিকরের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি মূল্যায়ন পর্ষদ জানিয়েছে, সল্টলেক এলাকার কর সংক্রান্ত বিষয়টি যে হেতু আদালতের বিচারাধীন, তাই সল্টলেককে বাদ দিয়ে বাকি এলাকার কর কাঠামো খতিয়ে দেখা হবে। এর মধ্যে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২৮, ৩৫ এবং ৩৬ নম্বরের মতো তিনটি ওয়ার্ডও রয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন করে মূল্যায়ন করতে সময় লাগবে। আগামী বছর পুরসভার নির্বাচন। ফলে মূল্যায়ন করা হলে নতুন পুরবোর্ড দায়িত্ব নিয়ে নতুন হারে কর আদায় করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পুরকর্তাদের একাংশ জানান, বর্তমান পুরবোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আবেদন জানিয়েছিল।
এক পুরকর্তা জানান, সল্টলেকে এখনও পুরনো হারেই কর নেওয়া হচ্ছে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও তা-ই। এর আগে ২০০৫ সালে মূল্যায়ন হলেও সল্টলেকের করের বিষয়টি আদালতে পৌঁছয়। তাই সেখানে সেই মূল্যায়ন অনুযায়ী কর আদায় সম্ভব হয়নি। রাজারহাট-গোপালপুরেও পুরনো হারে কর আদায় চলছে। তাই নতুন করে মূল্যায়নের প্রয়োজন ছিল বলে পুরকর্তাদের একাংশের মত। মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, পুরবোর্ড গঠনের পরেই এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য মূল্যায়ন পর্ষদ জানিয়েছে, সল্টলেক বাদ দিয়ে বাকি এলাকার করের মূল্যায়ন করা হবে। সে ক্ষেত্রে সম্পত্তিকর বাড়লে পুরসভার আয়ও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy