আলো ও রঙ্গলাল মজুমদার। — নিজস্ব চিত্র
একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার, নিউ টাউনের জ্যোতিনগরে। মৃতদের নাম রঙ্গলাল মজুমদার (৫৫) ও আলো মজুমদার (৪৭)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন রঙ্গলালবাবু।
পুলিশ জানায়, রঙ্গলালবাবুর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নিয়মিত মারধরের অভিযোগ ছিল। মারের ভয়ে আলোদেবী কয়েক মাস ধরে মেয়ের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। মারধরের প্রতিবাদ করায় দুই ছেলের গায়েও হাত তোলেন রঙ্গলালবাবু।
পুলিশ জানায়, রবিবার স্ত্রীকে নিজের ঘরে ঘুমোনোর জন্য অনুরোধ করেন রঙ্গলালবাবু। আশ্বাস দেন, আর গায়ে হাত তুলবেন না। সোমবার ভোরে ওই দম্পতিকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায়, গলায় গামছার ফাঁস জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে আলোদেবীর দেহ। আর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন রঙ্গলালবাবু। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘ওই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে ওই বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ধারণা, অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন রঙ্গলালবাবু। তার জেরে সম্ভবত তিনি স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন। তদন্ত চলছে।’’
নিউ টাউনের জ্যোতিনগরে বি ব্লকে কাঠের ব্যবসায়ী রঙ্গলালবাবুদের বাড়ি। পড়শিরা জানান, স্ত্রীকে প্রায়ই গালিগালাজ, মারধর করতেন তিনি। স্ত্রীর একা যাতায়াত বা অন্য কারওর সঙ্গে কথা বলা পছন্দ করতেন না রঙ্গলালবাবু। অভিযোগ, এ জন্য তিনি মেয়ের ফোনও ঘেঁটে দেখতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে দম্পতির তিন ছেলে পাশের একটি ঘরে ছিলেন। বড় ছেলে রিটন ঘুমিয়ে পড়লেও রাত দেড়টা পর্যন্ত মেজো ছেলে লিটন কাজ করেছেন। তখনও তিনি কিছু টের পাননি। সোমবার ভোরে ঘর থেকে বেরোনোর সময় লিটন দেখেন, তাঁদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কোনও ভাবে দরজা খুলে বেরোন তিনি। লিটনদের মতে, রঙ্গলালবাবুর মেয়ের ঘরও বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশের সন্দেহ, স্ত্রীকে খুনের আগে রঙ্গলালবাবু নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে ছেলে ও মেয়েদের ঘর বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy