প্রতীকী ছবি।
বেশ কয়েক দিন ধরেই মহিলাকে ফ্ল্যাটের বাইরে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। এমনকি ফোন করলেও কোনও সাড়া মিলছিল না। সন্দেহ হওয়ায় শনিবার রাতে প্রতিবেশীরা খবর দেন থানায়। এর পরে রাতেই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনটি ঘটেছে গল্ফ গ্রিন থানা এলাকার বিক্রমগড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রিনা সাহা (৪২)। রবিবার তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেরো আগে বিক্রমগড় এলাকার বাসিন্দা রতন সাহার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রিনাদেবীর। তাঁদের একটি ১১ বছরের সন্তান রয়েছে। কিন্তু কিছু দিন ধরেই ওই দম্পতির সংসারে অশান্তি চলছিল। কয়েক দিন আগে রিনাদেবী গল্ফ গ্রিন এলাকাতেই অন্য একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ওই আবাসনের নীচের তলায় রিনাদেবীর মা-বাবা থাকলেও তাঁদের সঙ্গে তাঁর তেমন যোগাযোগ ছিল না বলেই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা।
শনিবার খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রিনাদেবীকে দেখতে পায়। সেই সময়ে ঘরে এসি চলছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শনিবারই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে রিনাদেবী বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। একাধিক জায়গায় তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেই সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। দিন দশেক আগে থেকেই তিনি আলাদা থাকা শুরু করেন। গত শুক্রবার তাঁর স্বামী ওই ফ্ল্যাটে এসে তাঁকে ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি বলে প্রতিবেশীদের দাবি। তবে মা-বাবার সঙ্গে রিনাদেবীর সম্পর্ক কেন ভাল ছিল না, তা পুলিশ দেখছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy