বিশ্বকবি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রয়াত। শোকের আবহে কলকাতায় গ্রামোফোন কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিল একগুচ্ছ রেকর্ড প্রকাশ করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর। “তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজী নজরুল ইসলামের রচিত এবং স্বকণ্ঠে ‘রবিহারা’ আবৃত্তিটি এবং ইলা ঘোষ ও সুনীল ঘোষের সঙ্গে গাওয়া নজরুলের সেই বিখ্যাত গানটি— ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে’। আবৃত্তি ও গান— দুটিই ১৯৪১ সালের ৮ আগস্ট রচিত এবং ওই দিন নলিন সরকার স্ট্রীটের রিহার্সাল রুমে পুরোদস্তুর রিহার্সাল করে অনেক রাত পর্যন্ত রেকর্ড করা হয় দমদম স্টুডিওতে।” লিখেছেন অমল বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সদ্যপ্রকাশিত রেকর্ড শিল্পে রবীন্দ্রনাথ বইয়ে (লালমাটি)। গ্রামোফোন কোম্পানিতে কয়েক দশক কাজের সূত্রে বিজ্ঞাপন, প্রচার পুস্তিকা, শারদ অর্ঘ্য প্রকাশনার সঙ্গে রেকর্ড-ক্যাটালগ তৈরির জরুরি কাজ করেছেন; পরে হিন্দুস্থান রেকর্ড-এও।
গ্রামোফোন, হিন্দুস্থান রেকর্ডস ও মেগাফোন, তিন প্রধান রেকর্ড সংস্থার রবীন্দ্রসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রকবিতা-আবৃত্তি রেকর্ডের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্মাণের কাজে ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়। সেই অভিজ্ঞতারই ফসল এই বই। ১৯০৫-২০০২ এই প্রায় একশো বছরে যত রবীন্দ্রসঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্রে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর, রবীন্দ্র-কবিতার আবৃত্তি, রবীন্দ্র-নাটক, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্ররচনা-ভিত্তিক শ্রুতিনাটক, কৌতুক-নকশা, নানা ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রগানের প্যারডি, রবীন্দ্রনাথের সুরারোপিত অন্য রচয়িতার গানের রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির প্রয়াস— সহজ কাজ নয় মোটেই।
এই তালিকার বিন্যাস বর্ণানুক্রমিক। গানের ক্ষেত্রে ‘অকারণে অকালে মোর’ থেকে ‘হ্যাদে গো নন্দরানী’ পর্যন্ত যাত্রায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে যে বিরাটসংখ্যক কণ্ঠশিল্পীর খোঁজ মিলবে, তা আসলে বাংলা ও বাঙালির রবীন্দ্রসঙ্গীত-চর্যার অমূল্য অভিজ্ঞান; রবীন্দ্র-কবিতার আবৃত্তি-সহ অন্য ধারাগুলির ক্ষেত্রেও এক অনন্য উদ্ভাস। বিস্তৃত তালিকায় যাওয়ার আগে কয়েকটি পৃথক লেখায় ধরা আছে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে রেকর্ড প্রযুক্তি ও সংস্থাগুলির সংযোগ-কথাও; স্বদেশি যুগে হেমেন্দ্রনাথ বসুর এইচ বোস’জ় রেকর্ড থেকে শুরু করে ক্রমে গ্রামোফোন ও হিন্দুস্থান রেকর্ডসের সঙ্গে রবীন্দ্র-সম্পর্কের খতিয়ান।
বাইশে শ্রাবণ আসছে, সেই আবহে গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে ‘লালমাটি’ প্রকাশনার উদ্যোগে এই বইটি ছাড়াও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল বেশ ক’টি রবীন্দ্রবিষয়ক বইয়ের: বিজন ঘোষালের রবীন্দ্রপত্র সমগ্র ৬, অমল পালের রবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়, দেবাশিস ভৌমিকের রবীন্দ্রগানের নেপথ্যজন, রুমা মিত্রের অধ্যাত্মচেতনার আলোকে রবীন্দ্রগান, রাজনারায়ণ পালের কেমন শিক্ষক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সুশোভন অধিকারীর সঞ্চালনায় হল প্রাসঙ্গিক আলোচনা। পুরনো রেকর্ড থেকে বাজানো হল সে কালের ‘রবিবাবুর গান’, সেও এক ‘ঐতিহাসিক’ ব্যাপার বটে! উপরের ছবিতে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা রবীন্দ্রনাথ, ফাল্গুনী-র অন্ধ বাউলরূপী।
মঞ্চে তিনি
“ঋত্বিক নেই, কিন্তু তার স্বাক্ষর মনে হয় শিল্পগত ভাষায় মানুষের চিন্তা-ভাবনার বিষয়গত হয়ে থাকবে।” বিজন ভট্টাচার্য লিখেছিলেন ঋত্বিক ঘটক (ছবি) প্রয়াত হওয়ার পর। এই নভেম্বরে শতবর্ষী হবেন ঋত্বিক (জন্ম ১৯২৫), সেই উপলক্ষেই ‘চেতনা’ নাট্যদলের শ্রদ্ধার্ঘ্য মেঘে ঢাকা ঘটক। অ্যাকাডেমি মঞ্চে প্রথম অভিনয় আজ, দুপুর ৩টে ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এ-দলের পুরোধা অরুণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “জীবনে যাঁদের ‘গুরু’ বলে মেনেছি, ঋত্বিক ঘটক তাঁদের মধ্যে বোধ হয় প্রধানতম।” তাঁর উত্তরাধিকারী সুজন নীল মুখোপাধ্যায় নতুন প্রযোজনাটির নির্দেশক, অভিনয়ও করছেন ঋত্বিকের ভূমিকায়। “ভাগ্যের বিড়ম্বনাকে কলা দেখিয়ে, নিজের শিকড়কে না ভুলে এক জন আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী বেঁচে থাকতে পারেন এ ভাবে? নাটককার জিৎ সত্রাগ্নি কলমের আঁচড়ে তুলে এনেছেন তাঁর নানান চড়াই-উতরাই,” জানালেন সুজন। শিল্পীর ভিতরের আত্মাটিকে ইতিহাসের প্রেক্ষিতে পুনঃ নির্মাণে ব্রতী হয়েছেন তিনি।
শ্রমিক-স্বার্থে
২৯টি শ্রম ও শিল্প আইনের আধুনিকীকরণ ও সরলীকরণের লক্ষ্যে দেশে চারটি নতুন শ্রম বিধি আনা হয়েছে। কিন্তু তা শ্রমিক অধিকারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, ঘনিয়েছে এই প্রতিবাদ। এই আবহে ‘নাগরিক মঞ্চ’-এর উদ্যোগে গত ১৮ জুলাই শশিপদ বন্দ্যোপাধ্যায় রিসোর্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে বেরোল একটি বই, লেবার কোড: কার লাভ কার ক্ষতি (সম্পা: প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়)। অঞ্জন চক্রবর্তী কিংশুক সরকার সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আশীষ কুসুম ঘোষ নব দত্ত প্রমুখ বইয়ে প্রশ্ন তুলে বুঝিয়েছেন, কেন সরকার এই আইন আনল; খোঁজার চেষ্টা হয়েছে এর পিছনে আসল রাজনীতিকে।
তেইশে পা
বাইশ বছরের যাত্রায় নাট্য প্রযোজনা, কর্মশালা, সেমিনার; নাট্যপত্রও প্রকাশ করেছে ‘আভাষ’ নাট্যদল। ‘বাংলা থিয়েটারে অভিনয়ের আধুনিকতা ও পরম্পরা’ নিয়ে সম্প্রতি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেবশঙ্কর হালদার ও সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সোহাগ সেন অনসূয়া মজুমদার সেঁজুতি রায় মুখোপাধ্যায় তূর্ণা দাশের কথন। ৫-৮ অগস্ট আভাষ-এর ‘এখন তেইশ’ আয়োজনের অঙ্গ হিসেবে ৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় অ্যাকাডেমি মঞ্চে প্রকাশ পাবে তা, সময় নাট্যভাষ নাট্যপত্রে। মৃত্যুর তিন মাস আগে শমীকবাবুকে দেওয়া অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারটিও মুদ্রিত সেখানে। ‘খালেদ চৌধুরী সম্মাননা’য় ভূষিত হবেন শমীকবাবু, পরে অভিনীত হবে আভাষ-এর নতুন নাটক পাহাড়চূড়ায় ইডিপাস। ৮ অগস্ট সন্ধে সাড়ে ৬টায় মধুসূদন মঞ্চে আর একটি নতুন নাটক কাপুরুষের কাহিনি, শেখর সমাদ্দারের নির্দেশনায়।
শ্রাবণে মল্লার
ভরা শ্রাবণে মল্লার। গ্রীষ্মের দাবদাহের পরে প্রকৃতি যখন ঠান্ডা হয় বর্ষাধারায়, তখন জেগে ওঠে সুর— ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে তাই বর্ষাকালীন রাগরাগিণী, বিশেষত মল্লার-কেন্দ্রিক রাগগুলির আলাদা এক আবেদন রয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্কে আয়োজিত হয়ে আসছে ‘মল্লার উৎসব’, বর্ষার রাগের রূপ ও রসের আস্বাদ দিতে। এ বছরের মল্লার উৎসব আজ বিকেল ৫টা থেকে ইনস্টিটিউট-এর বিবেকানন্দ হল-এ। পণ্ডিত দত্তাত্রেয় ভেলঙ্কর অশোক মুখোপাধ্যায় কুমার বসু অরূপ চট্টোপাধ্যায়-সহ এই সময়ের প্রবীণ-নবীন শিল্পীদের নিবেদনে কণ্ঠসঙ্গীত সেতার সরোদ; হারমোনিয়াম-তবলার সঙ্গতে সুরবর্ষা।
দুই কমিক্স
কল্পবিজ্ঞান ও কমিক্স, আলাদা করে এই দুই ধারা বাংলায় পুষ্ট নানা জনের কলমে। তবে বাংলা ভাষায় ‘সিরিয়াস’ কল্পবিজ্ঞান-কমিক্স লেখা-আঁকা প্রসঙ্গে ময়ূখ চৌধুরীর নাম মনে না পড়ে উপায় নেই। ১৯৭০-৭২ সময়কালে পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় আগন্তুক, মুখ্য চরিত্র জয়ন্ত ও ‘উরা’— মঙ্গলগ্রহ থেকে যে পৃথিবীতে আসে এক বিজ্ঞানীর তৈরি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার রাসায়নিকের ফর্মুলা চুরি করতে। ৫৫ বছর আগের সেই সাদা-কালো কল্পবিজ্ঞান-কমিক্স আগন্তুক এ বার গ্রন্থাকারে প্রকাশ করল ‘বুকফার্ম’। সেই সঙ্গে রবিনহুড কমিক্স সমগ্র (সম্পা: ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়): ১৯৭৮-৮২ সময়কালে প্রকাশিত ময়ূখ চৌধুরীর সাতটি কমিক্সের সঙ্কলন, সঙ্গে একই বিষয়ে ওঁর দু’টি ছোটগল্পও। আসল নাম শক্তিপ্রসাদ রায়চৌধুরী, কিন্তু ময়ূখ চৌধুরী নামে পাঠকধন্য এই লেখক-শিল্পীর জন্মশতবর্ষের সূচনাও এ বছর।
গঙ্গা, তুমি
বক্সার যুদ্ধের (১৭৬৪) কয়েক বছরের মধ্যে এ দেশে ইউরোপীয় চিত্রকরদের আনাগোনা শুরু। প্রতিকৃতি, সমাজচিত্রের সঙ্গে নিসর্গও ফুটে উঠল তাঁদের তুলিতে। ভারতীয় জনজীবনে গঙ্গার গুরুত্ব অসীম, তাই তাকে ঘিরেও বিদেশি শিল্পীদের আঁকা ছবির ভান্ডার গড়ে উঠল ক্রমে। এর একটা বড় অংশ সংরক্ষিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতা-র সংগ্রহে, তবে নানা কারণে সাধারণের চোখের আড়ালে থাকে তারা। এই অভাব ঘোচাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে কিছু ছবি নিয়ে ‘পিকচার ফোল্ডার’ প্রকাশের। তারই অংশ হিসাবে ‘পিকচারেস্ক গঙ্গা: দ্য মিউজ় অব আর্টিস্টস ভিজ়িটিং ইন্ডিয়া ইন দি এইট্টিনথ অ্যান্ড নাইন্টিনথ সেঞ্চুরিজ়’ নামে দশটি ছবির একটি ফোল্ডার প্রকাশ পেল গত ২৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে। ছবিগুলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন শিল্প-আলোচক নানক গঙ্গোপাধ্যায়। ছবিতে তারই একটি, ‘ভিউ অব এসপ্লানেড ফ্রম নিয়ার ফোর্ট উইলিয়াম’ (১৭৮৫), টমাস ড্যানিয়েলের আঁকা।
বাংলা ঘড়ি
দোকানের মিষ্টি খেয়ে খুশি হয়ে সাহেব উপহার দিয়েছিলেন এক দেওয়ালঘড়ি। ইংরেজি পড়তে না জানা দোকানের কর্মীদের জন্য তাতে সময়ের চিহ্ন লেখা হয়েছিল বাংলা হরফে। বৌবাজারের ভীমচন্দ্র নাগের দোকানের দেওয়ালে টাঙানো কুক অ্যান্ড কেলভি কোম্পানির সেই ঘড়ি আজ হয়ে উঠেছে কলকাতার ঐতিহ্যের নিদর্শন (ছবি)। এরই প্রেরণায় তৈরি, বাংলা হরফে ঘণ্টা-নির্দেশক নম্বর লেখা ডায়ালযুক্ত হাতঘড়ি তৈরি হয়েছে আর পাওয়াও যাচ্ছে শহর কলকাতায়, এ খবরে একপ্রস্ত হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের মিলিত আকর্ষণের বাইরে এও খেয়াল করার: এ বার হাতে হাতে ঘোরা সময় মাপার যন্ত্রে বাংলায় লেখা হল। বাংলা ভাষা ও ভাষী দুই নিয়েই যখন ঘরে-বাইরে তুমুল হট্টগোল, তখন এই সহজ সাধারণ ও অন্য রকম ভাবনাটি বেশ।
অন্য শহর
ঔপনিবেশিক শহর হিসেবে গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় আসতে শুরু করেন বহু ইউরোপীয় ও এদেশীয় মানুষ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিস্তৃত হয় শহরের অপরাধজগৎও। চুরি ছিনতাই ডাকাতি হত্যা, প্রশাসনিক দুর্নীতির মুখোমুখি হন শহরবাসী। অভিযুক্ত বা অপরাধীর ছাপ পড়া এই সব মানুষেরও ছিল নিজস্ব গল্প, যার সঙ্গে ওতপ্রোত সেকেলে আর্থ-সামাজিক পরিবেশ, দুর্বল বিচারব্যবস্থা। আঠারো শতকের কলকাতায় ইউরোপীয় ও এদেশি প্রান্তজন নিয়ে শর্মিষ্ঠা দে-র গবেষণায় উঠে আসা সেই সব কথা শোনা যাবে ‘টেলস অব দি উইকেড সিটি’ অনুষ্ঠানে, আজ সন্ধে সাড়ে ৬টায় শোভাবাজার রাজবাড়ি নাটমন্দিরে। ‘ইস্ট ইন্ডিয়া দস্তানগোই’ নিবেদন করবে সে কালের নাবিক, ডাকাত, চোর, বাঙালি বাবু, কোম্পানির কর্মকর্তা ও যৌনকর্মীর মতো চরিত্রের আখ্যান। ভিস্যুয়াল ও পারফর্মিং আর্টের বিনিময় নিয়ে দিল্লি আর্ট গালারি (ডিএজি)-র ‘ইন্টারসেকশনস’ অনুষ্ঠানমালার অঙ্গ এই উদ্যোগ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)