ছবি: সংগৃহীত।
বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ চলাকালীন ধস নামায় নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের নীচে সুড়ঙ্গের বাঁকে আটকে পড়া দু’নম্বর টানেল বোরিং মেশিনটিকে (টিবিএম) সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যন্ত্রটিকে অন্তত পাঁচ মিটার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল-কে নির্দেশ দিয়েছে, ওই যন্ত্র সরিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে। ওই প্রকল্পের রুট বদলানোর পরিকল্পনা আছে কি না, এ দিনের নির্দেশে তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
৩১ অগস্ট বৌবাজারে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোয় ধস নামায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুড়ঙ্গের মধ্যে দু’নম্বর টানেল বোরিং মেশিনটি আটকে যায়। সরিয়ে আনতে না-পারলে সেটি খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে মেট্রো-কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। ধস নামার পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে অভিযোগ জানায়, সব দিক খতিয়ে না-দেখে তড়িঘড়ি কাজ করতে গিয়ে বিপর্যয় ঘটিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: তিন বার পোশাক বদল, ধোঁয়াশা পঞ্চসায়র গণধর্ষণ-তদন্তে
সেই আবেদনের পরেই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া নির্মাণকাজ ফের শুরু করা যাবে না। আদালত ৮ নভেম্বর ওই মামলার শুনানিতে মেট্রো-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল, ওই যন্ত্র সরানো হলে ফের কোনও বিপত্তি বা প্রাণহানির আশঙ্কা আছে কি না, মেট্রোর বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সেটা আদালতে জানাতে হবে। মেট্রো-কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করে আদালতে জানায়, ওই যন্ত্র সরানো হলে কোনও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
মেট্রো সূত্রের খবর, সচল রাখার জন্যই যন্ত্রটিকে নাড়াচাড়া করা দরকার। এক দিনেই সেটিকে পাঁচ মিটার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, এমন নয়। তবে একটু একটু করে সরালেই সেটিকে সক্রিয় রাখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy