প্রতীকী ছবি।
‘বন্ধু’ সেজে বিপদ যে ঘরে বাসা বেঁধেছে তা বুঝতে পারেননি তরুণী। যত দিনে তিনি বুঝতে পারলেন, তত দিনে ‘বন্ধু’র হাতে গায়েব হয়ে গিয়েছে তাঁর সব সঞ্চয়। ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করে অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সেই যুবক।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়ি বাঘাযতীনে। মঙ্গলবার নেতাজিনগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, ওই তরুণী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রায় ছ’লক্ষ টাকা চুরি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন। যার ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাজিনগর থানা এলাকার সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ওই তরুণী। স্বামী মারা যাওয়ার পরে ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকেন তিনি। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তরুণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে এক বছর আগে অভিযুক্ত যুবকের আলাপ হয় এক পরিচিতের মাধ্যমে। আলাপ থেকে বন্ধুত্ব হয়। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় ওই যুবক বলে দাবি তরুণীর। ধীরে ধীরে তরুণীর বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে সঞ্জয়। এমনকী ব্যাঙ্কের মতো ব্যাক্তিগত নথিও তরুণী তার হাতে তুলে দেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, সঞ্জয় নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তরুণীর সঙ্গে আলাপ এবং ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে প্রথমে তাঁর বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠে অভিযুক্ত। পরে নানা কায়দায় এটিএম কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও হাতিয়ে নেয় সে। তদন্তকারীরা জানান, এটিএম কার্ড ব্যবহার করলে যাতে তরুণীর মোবাইলে কোনও এসএমএস না ঢোকে সে জন্য তরুণীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিজের মোবাইল নম্বর যুক্ত করে নেয় ধৃত। ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তরুণীর ঘরে থাকা সোনার গয়নাও হাতিয়ে নেয় সে।
বুধবার ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সঞ্জয় বিবাহবিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছিল। তা ছাড়া তার আচরণে কোনও সন্দেহ হয়নি। তাই গুরুত্বপূর্ণ সব নথি তুলে দিয়েছিলাম। বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আমার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি ও গয়না চুরি করার পরেও আমাদের সঙ্গে মিশছিল।’’
কী ভাবে জানা গেল সঞ্জয় এই ঘটনায় যুক্ত?
পুলিশের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে সঞ্জয়ের আচরণ নিয়ে সন্দেহ হচ্ছিল তরুণীর। এর পরেই ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। গায়েব হয়েছে ঘরে থাকা সোনার গয়নাও। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy