বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক বালকের। শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ছেলেটি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁর সন্ধান পাননি আত্মীয়-পরিজনেরা। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুরে এলাকারই একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির লিফ্টের গর্তে উদ্ধার হল ওই বালকের দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভীরু মোল্লা সিধু (৯)। বাড়ি টিটাগড়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ইন্ডিয়ান পাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডে অন্ধ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত ওই বালক। শনিবার বিকেলে সে স্কুল থেকে ফিরে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলতে বেরিয়ে যায়। তার পর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। শনিবার সারা রাত ওই বালকের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়ি তল্লাশি করেও তার খোঁজ মেলেনি বলে পরিবারের দাবি। রবিবার সকালে ভীরুর বাবা ভি কৃষ্ণ রাও টিটাগড় থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত ডায়েরি দায়ের করেন।
খবর পেয়ে ছেলেটির খোঁজ শুরু করে টিটাগড় থানার পুলিশ। স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকারই একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে ভীরুকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা গিয়েছিল। এর পরই ওই বাড়িটির মধ্যে তল্লাশি শুরু হয়। দুপুর ২টো নাগাদ লিফ্টের গর্তের মধ্যে ওই বালকের দেহ উদ্ধার হয়। তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্য, ঘটনাটি হয় দুর্ঘটনা, অথবা খুন হতে পারে। উঁচু থেকে পড়ে গেলে যে পরিমাণ আঘাত ওই বালকের দেহে থাকার কথা, তা ছিল না বলে পুলিশের দাবি। আবার লিফ্টের গর্তে জল জমে থাকার কারণে আঘাত কম লেগেও ওই বালকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্মীয়মাণ বাড়িটির প্রোমোটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ভীরুর বাবা বলেন, ‘‘রোজ আমার ছেলে যাদের সঙ্গে খেলতে যেত, শনিবারও তাদের সঙ্গেই গেছিল। আমি যখন ওদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওরা বলেছিল ভীরু ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy