মুখের ডান দিকে, উপরের পাটির একটা দাঁত ভাঙা। আর একটা মোবাইল। চন্দ্রবিন্দুর ‘চ’, বিড়ালের ‘শ’-এর মতো। মিল নেই। কিন্তু নাকতলায় ডাকাতির তিন সপ্তাহের মাথায় তার কিনারা হল এক দুষ্কৃতীর দাঁতের বৈশিষ্ট্য ও লুঠ করা মোবাইল বিক্রি করার মতো ভুল পদক্ষেপেই।
এই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার পুলিশ রাজু ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, পেশায় রিকশাচালক রাজু দুষ্কৃতীদের পাণ্ডা। বাড়ি সোনারপুরে। তার বিরুদ্ধে আগেও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। সে গ্রেফতারও হয়েছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক রণবীর সিংহের বাড়িতে ডাকাতি হয়। রণবীরবাবুর বাড়ির এক তলায় তাঁর শ্বশুর মোহিত চৌধুরী সস্ত্রীক থাকেন। ডাকাতির পরে মোহিতবাবু পুলিশকে জানান, এক দুষ্কৃতীর একটি দাঁত যে ভাঙা, তা তিনি দেখেছেন। তাতেই দুষ্কৃতীকে চেনা মনে হয়েছিল। পুলিশ জানায়, রাজু ঘটনার আগে তিন-চার দিন মোহিতবাবুকে রিকশায় স্থানীয় একটি দোকানে নিয়ে গিয়েছিল। সেই দোকানের নাম করেই ডাকাতেরা মিথ্যা পরিচয় দেওয়ায় দরজা খুলে দেন মোহিতবাবুর স্ত্রী।
সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, মোহিতবাবুর চুরি যাওয়া মোবাইল ব্যবহার করছেন বাঁশদ্রোণীর এক মহিলা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, বাঁশদ্রোণীরই অন্য এক জন তাঁকে ফোনটি দিয়েছেন। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ রাজুর নাম জানতে পারে। রাজুর তিন সঙ্গীকে এখন খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy