প্রতীকী ছবি।
অগ্নিদগ্ধ এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করল পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। বুধবার রাতে, পর্ণশ্রীর সূর্য সেন পল্লি থেকে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় (২৮)। তিনি মৎস্যবিজ্ঞান নিয়ে এমএসসি পাশ করলেও কোনও চাকরি করতেন না। বিয়েও করেননি। মায়ের সঙ্গে পর্ণশ্রীর সূর্য সেন পল্লির বাড়িতে থাকতেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার বাবা মারা গিয়েছেন ২০১১ সালে। এক দিদি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন।
পুলিশকে প্রিয়াঙ্কার মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মানবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। পরে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে তিনি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়েই থাকতেন। সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কার মনে ভয় কাজ করতে শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর মা। মায়েরও বয়স হয়েছে। তিনি একা হয়ে যাবেন, এই ভয় থেকেই তাঁকে অবসাদ গ্রাস করে ফেলে। তিনি মনে করছেন, সেই অবসাদে জেরেই প্রিয়াঙ্কা আত্মঘাতী হয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কার মা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বুধবারই মেয়ে কেরোসিন কিনে এনেছিল। হঠাৎ করে কেরোসিন কিনে আনায় তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তাতে প্রিয়াঙ্কা মাকে বলেছিলেন, কেরোসিন দিয়ে ঘর মুছবেন। তাতে মশা এবং পোকা-মাকড় মরে যায়। তাই মায়ের আর সন্দেহ হয়নি।
সেই কেরোসিন যে প্রিয়াঙ্কা নিজের গায়ে ঢেলে আগুন দেবেন, তা তিনি ভাবতে পারেননি বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার মা। রাতে পাশের ঘর থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে ছুটে গিয়ে তিনি দেখেন মেয়ের গায়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করে পড়শিদের ডাকলে তাঁরা ছুটে আসেন এবং আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর যায় থানায়। পরে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই তরুণীর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে মৃত্যুর কারণ জানতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy