ধোঁয়ার গ্রাসে পাড়া। ছবি: শৌভিক দে
বসতি এলাকায় রাস্তার ধারে রকমারি আবর্জনা এক জায়গায় জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক-দু’দিন নয়, বেশ কয়েক মাস ধরে ঘটে চলেছে এমনটাই। যার জেরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারাও। তাঁরা এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
তবে তাতেও কোনও কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তাঁদের। আবর্জনা পোড়ানো চলছেই।
ঘটনাস্থল সল্টলেকের ই ই ব্লক। বিধাননগর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা ই ই ব্লকের পাশেই ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল। সেই চ্যানেলের দু’পাড়ে রাস্তার ধারে প্লাস্টিক থেকে ফাইবারের সামগ্রীর মতো রকমারি আবর্জনা জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে বিপুল পরিমাণে ধোঁয়া ঢুকে পড়ছে ইই ব্লকে। অভিযোগ, এই ধোঁয়ার জেরে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন। এমনকী খালপাড় সংলগ্ন বাড়িগুলির অনেকে তো ধোঁয়ার জেরে জানলাও খুলতে পারেন না। এক বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যে কারা আবর্জনা পোড়াচ্ছেন, এর জেরে এলাকা বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’
ই ই ব্লকের আবাসিক সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মাইতি অবশ্য জানান, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বাসিন্দাদের একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (আলো) সুধীর সাহা বলেন, ‘‘ইস্টার্ন ড্রেনেজ খালপাড় সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর। ওই কাজ হলে এ ধরনের ঘটবে না বলেই আশা করছি।’’
তবে শুধু যে বিধাননগর পুর এলাকার মধ্যে আবর্জনা পোড়ানো হচ্ছে এমনটা নয়। উল্টোদিকে পাঁচ নম্বর সেক্টরের মধ্যেও একই ভাবে প্রকাশ্যে আবর্জনা পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে আবর্জনা পোড়ানো কার্যত অপরাধের সামিল। এর ফলে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে আবর্জনা পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সমস্ত পুরসভাগুলিকে সে বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। বিধাননগর পুরসভা কিংবা পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের কর্মীরাও আবর্জনা সংগ্রহ করে তা জমা করেন ডাম্পিং গ্রাউন্ডেই।
সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, কারা আবর্জনা পোড়াচ্ছেন এবং কেন। তার উত্তর অবশ্য জানা নেই কারও। ফলে স্বভাবতই এলাকায় নজরদারির পরিকাঠামো কতটা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। তবে বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘অবিলম্বে খোঁজ নিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy