ফাইল ছবি
বৈঠকে বসে আলোচনার পরে কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধেই মত দিলেন বাসমালিকেরা। রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা যে কমিয়ে আনতে হবে, সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গে তাঁরা একমত। কিন্তু কমিশন প্রথা তুলে দিলে বাস পরিষেবাই যে ভেঙে পড়বে, সে অভিমতও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
কমিশন প্রথা তুলে দেওয়া নিয়ে সরকারি নির্দেশের প্রেক্ষিতে কী করণীয়, তা ঠিক করতে বুধবার দুপুরে আলোচনায় বসেছিলেন বাসমালিকদের তিনটি সংগঠন, ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি’ এবং ‘ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যেরা।
ঘণ্টা দু’য়েকের বৈঠকের পরে ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার পরে আয়-ব্যয়ের সমতা রেখে কী ভাবে বাস চালানো যাবে, তা নিয়ে স্পষ্ট পথনির্দেশ দিক সরকার।” বাসকর্মীদের জন্য কী ভাবে কোন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হবে, তা-ও সরকারের কাছে ঠিক করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
সারা রাজ্যের মধ্যে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় কমিশন প্রথা চালু রয়েছে। রেষারেষির জেরে পরপর কয়েকটি পথ দুর্ঘটনার কারণে গত ২৮ জুন পরিবহণমন্ত্রী বাসমালিক সংগঠনগুলিকে ডেকে কমিশন প্রথা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’, ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’-সহ দু’-একটি সংগঠন সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে সম্মত হলেও এই তিনটি সংগঠন আপত্তি জানায়। এ দিনের বৈঠকের পরে তাঁরা যে আগের অবস্থান থেকে সরে আসেননি, তা-ও জানিয়েছেন ওই তিন সংগঠনের কর্তারা। চালু কাঠামোয় ওই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও
জানান তাঁরা।
রাস্তায় বাসের রেষারেষির জন্য একই রুটে অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক বাস, বাসকর্মীদের অপ্রতুলতা এবং বাসপিছু কম আয়-সহ একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন তাঁরা। এ দিন ‘মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, “রাস্তায় দুর্ঘটনার জন্য একক ভাবে কমিশন প্রথাকে দায়ী করা ঠিক নয়। রাস্তার পরিসর কমছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা থাকে। আমরা দুর্ঘটনা কমাতে সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি। কিন্তু সেটা কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে নয়।”
২৮ জুনের বৈঠকের পরে এ পর্যন্ত কমিশন প্রথা তুলে দেওয়া নিয়ে সরকারের তরফে কোনও লিখিত নির্দেশ জারি করা হয়নি। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে তার পরেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানান পরিবহণ দফতরের এক কর্তা। তবে ঠিক কবে থেকে ওই প্রথা তুলে দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করতে চাননি ওই কর্তা।পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বাস-রুট এবং বাসের টাইমটেবিল পুনর্বিন্যাস করার কাজ চলছে। ওই প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy