দুমড়ে: দুর্ঘটনার পরে গাড়িটিকে সরানোর ব্যবস্থা করছেন উদ্ধারকারীরা। মঙ্গলবার, হাওড়া ব্রিজে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ঘটা করে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনই হোক বা চালকদের কর্মশালা— এ সব করে যে একই রুটের বাস-মিনিবাসের মধ্যে প্রাণঘাতী টক্করবাজি বন্ধ করা যাবে না মঙ্গলবার ফের প্রমাণ মিলল।
এ দিন হাওড়া ব্রিজে রেষারেষির সময়ে কলকাতার দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মিনিবাস একটি সরকারি বাসকে সজোরে ধাক্কা মারে। এর পরে একটি প্রাইভেট গাড়ির সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়, জখম হন ৮ জন। গত মাসেও দু’টি মিনিবাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে হাওড়া ব্রিজের উপরে একটি বাস উল্টে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক যাত্রী, আহত হন ৫ জন।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ হাওড়ার দিকে সেতু থেকে নামার আগে এক নম্বর পিলারের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা কলকাতার দিক থেকে আসা শ্যামবাজার-হাওড়া ময়দান রুটের একটি মিনিবাস তীব্র গতিতে হাওড়া এসে একটি এস-৭ রুটের সরকারি বাসকে মুখোমুখি ধাক্কা মেরে ঘুরে যায়। ঘুরে গিয়েই মিনিবাসটি ফের ধাক্কা মারে পিছনে থাকা একটি প্রাইভেট গাড়িটি। প্রাইভেট গাড়ির চালকও গুরুতর জখম হন।
ঘটনার পরেই আহতদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এক মহিলা-সহ ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। বাকি ৬ জনকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বছর পঁয়তাল্লিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মারা যান।
সংঘর্ষের পরে পথচলতি মানুষই উদ্ধারকার্য শুরু করেন। আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার্সের কর্মীরা। পৌঁছন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। সেতু হাওড়ার দিকে নামার রাস্তা যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় পড়া তিনটি গাড়িকেই রেকার ভ্যান ডেকে দ্রুত সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ।
ঘাতক মিনিবাসটিতে ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা মুকেশ শর্মা। হাসপাতালে বসে মাথায় ছ’টি সেলাই নিয়ে বললেন, ‘‘আমাদের বাসটির আগে অন্য একটি শ্যামবাজার রুটের মিনিবাস ছিল। প্রথম থেকেই ওই বাসটির সঙ্গে রেষারেষি চলছিল। নিষেধ করলেও চালক শোনেননি। হাওড়া ব্রিজে ওঠার পরে চালক আরও বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (ট্রাফিক) অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’টি বাসের রেষারেষির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও রেষারেষি করা অন্য বাসটির সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পরে মিনিবাসটির চালকও পালিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy