বঙ্গবাসী কলেজ।—ফাইল চিত্র।
এক প্রার্থীর দায়ের করা মামলার জেরে বঙ্গবাসী কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ওই স্থগিতাদেশ দেন।
খিদিরপুরের সালেহা বেগম ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে ইতিহাসের আংশিক সময়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, ২০১৮ সালে সালেহা কলেজ সার্ভিস কমিশনের (সিএসসি)পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ওবিসি-(এ) ক্যাটিগরির। ২১ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ের পরে মেধা তালিকায় সালেহার নাম ওঠে। গত ১৩ জুন তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকে সিএসসি। পছন্দের কলেজ বাছতে বলা হয়। সালেহা জানান, বঙ্গবাসী কলেজে ওবিসি ক্যাটিগরিতে ইতিহাসের শিক্ষক-পদ ফাঁকা রয়েছে। তিনি তাই ওই কলেজ বাছেন। আইনজীবী আশিসবাবু জানান, সালেহার অভিযোগ, তিনি যে ওবিসি (এ) ক্যাটিগরিভুক্ত তার ‘আপ টু ডেট’ শংসাপত্র নতুন করে দাখিল করতে বলে কমিশন। সালেহা জানান, ওই শংসাপত্র এক বারই মেলে। কিন্তু কমিশন সে কথা মানতে চায়নি বলে অভিযোগ।
গত ১ জুলাই সিএসসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে সালেহা জানান, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি এবং ওবিসি (এ) ক্যাটিগরির শংসাপত্র যাচাই করে বঙ্গবাসী কলেজে তাঁকে নিয়োগ করা হোক। চিঠির জবাব না পেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে যান তিনি। বুধবার শুনানিতে সালেহার আইনজীবী জানান, সিএসসি-র নিয়মমতো কাউন্সেলিংয়ে ‘অরিজিনাল’ সব নথি ও তার প্রত্যয়িত কপি পেশ করেছেন তাঁর মক্কেল। নিয়ম অনুযায়ী, কমিশন সব নথি যাচাই করতে পারে। কিন্তু কোনও নথি ‘আপ টু ডেট’ করিয়ে আনতে বলতে পারে না। সালেহার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে। কমিশনের আইনজীবী দীপক মণ্ডল জানান, তিনি এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জেনে আদালতকে জানাতে পারেন।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি চক্রবর্তী বঙ্গবাসী কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে জানান, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ হবে না। পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy