Advertisement
E-Paper

কসবাকাণ্ডে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা, দ্রুত শুনানির আর্জি! বিপরীত পক্ষকে নোটিস দিতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

কসবার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবীরা। একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১১:২০
কসবায় গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ।

কসবায় গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কসবার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবীরা। একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছেন মামলাকারীরা। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়োজন নেই। ওই বিষয়ে সকল মামলা দায়ের করে বিপরীত পক্ষকে নোটিস দেওয়া হোক। তার পরে শুনানি চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন আইনজীবীরা। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দু’জন ওই কলেজের বর্তমান ছাত্র। এক জন প্রাক্তনী এবং বর্তমানে ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী। তিনিই মূল অভিযুক্ত। এ ছাড়া, কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষালের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা।

আইনজীবী সৌম্যশুভ্র মূলত তিনটি আবেদন জানিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত এক জন বিচারপতির নজরদারিতে কসবার ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তিনি। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। এ ছাড়া, নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হোক, আবেদনে জানিয়েছেন আইনজীবী।

নির্যাতিতার অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রথমে ইউনিয়ন রুমে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তার পর রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। ওই দিনের সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ টিএমসিপি-র সঙ্গে যুক্ত। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, তারা কলকাতা পুলিশের তদন্তেই আস্থা রাখছে। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই।

kasba Kasba Rape Case Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy