মদন মিত্রকে নজরে রাখতে হাসপাতালেও পাহারা বসাচ্ছে সিবিআই। সারদা মামলার সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণের সুরক্ষার স্বার্থেই মন্ত্রীর উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা জরুরি। বলছে সিবিআই। লোকবল কম থাকায় হাসপাতালে পাহারা বসাতে সিবিআই এখন লালবাজারের দ্বারস্থ।
মদন মিত্রের জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি মীর দারাশিকোর অবকাশকালীন বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ, গৃহবন্দি থাকতে হবে মদন মিত্রকে। জেরায় হাজির হওয়া বা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কারণে বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না মদন, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে পুলিশি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু, মন্ত্রী এখন বাড়িতে নেই। তিনি বর্তমানে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই হাসপাতালে নজরদারির জন্য শুক্রবার সকালেই সিবিআইয়ের তরফে কলকাতা পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, হাসপাতালে নজরদারি করতে গেলে যে পরিমাণ লোকবল দরকার, তা সিবিআইয়ের হাতে নেই। তাই কলকাতা পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের অনুরোধ মেনে এক জন অফিসার ও তিন জন কনস্টেবল পাঠানো হয়েছে। মদনবাবু হাসপাতালের চারতলার একটি কেবিনে রয়েছেন। সেই কেবিনের বাইরে ওই চার জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরেও কিছু পুলিশ রাখা হয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, সিবিআই কলকাতা পুলিশের সাহায্য চাইলেও হাসপাতালে নিজেদের দুই কর্মীকেও তারা মোতায়েন করেছে। পুরো নজরদারির ব্যবস্থার উপরে নজর রাখছেন সিবিআইয়ের ওই দুই কর্মী।
লালবাজারের একাংশ মনে করছেন, এসএসকেএম হাসপাতালে থাকার সময় মদনবাবুর কেবিনে বাইরের লোক যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার ফলেই এ বার বেসরকারি হাসপাতালে মদনবাবুর কেবিনে কে কে আসছে, সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলেছে আদালত। পুলিশের একাংশের অভিমত, কলকাতা পুলিশ যেহেতু রাজ্য সরকারের বাহিনী এবং মদনবাবু রাজ্যের মন্ত্রী, তাই গোটা ব্যবস্থার উপরে পুলিশের পাশাপাশি সিবিআই নিজেদের নজরদারিও রেখেছে। এ দিন দুপুর থেকেই ওই হাসপাতালে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। হাসপাতালে যাতায়াত করা লোকজনকে রীতিমতো কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে পুলিশকে। মদনবাবুর কেবিনের ত্রিসীমানায় কাউকেই ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy