ফাঁকা জমিতে গজিয়ে ওঠা জঙ্গলে আবর্জনা ফেলা আটকাতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি শুরু হয়েছে নিউ টাউনে।
‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ) জানাচ্ছে, আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার করে মশা ঠেকানো গেলেও, অনেকক্ষেত্রেই সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয় ফাঁকা জমির জন্য। বছরের পর বছর কোনও নির্মাণকাজ না করে ওই সব ফাঁকা জমি ফেলে রেখেছেন অনেকেই। সে সব জমিতে বছরে এক-দু’বার জঙ্গল কাটা হলেও অর্থ ও লোকবলের অভাবে সব সময়ে জঙ্গল সাফাই সম্ভব হয় না। তার উপরে ওই সমস্তজঙ্গলে নিউ টাউন কিংবা বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আবর্জনা নিয়ে এসে ফেলে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। যার ফলে সেখানে তৈরি হয় মশার আঁতুড়ঘর।
পুজোর মুখে নিউ টাউনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় জঙ্গল কাটা হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় খাল কেটে জলের প্রবাহ বাড়ানোর কাজও চলছে। সেই সঙ্গে মশার উপদ্রব ঠেকাতে চলছে ডেঙ্গি নিয়েপ্রচারও। মাঝেমধ্যেই এনকেডিএ-র বিশেষ দল বিভিন্ন আবাসিক এলাকা কিংবা আবাসনে গিয়ে জল জমে আছেকিনা, তা সরেজমিনে দেখে আসছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা। কয়েক দিন আগে নিউ টাউনের রাস্তায়ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনার প্রচারে পদযাত্রাও করা হয়।
এনকেডিএ-র আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এক নম্বর অ্যাকশন এরিয়াতেই নিউ টাউনের সিংহভাগ বসতি। ওই সব এলাকার আশপাশে যে সমস্ত ফাঁকা জমি রয়েছে,সেগুলির আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকলে বিষয়টি এনকেডিএ-র নজরে আসে।সংস্থার এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলেযায়, এমন দু’টি গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করাহয়েছে। অ্যাকশন এরিয়া দুই এবং তিনে বসতি ততটা নেই। ফলে, এক নম্বর অ্যাকশন এরিয়াকেই যতটাসম্ভব মশার উপদ্রব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বসতিএলাকার ঝোপ-জঙ্গল সাফাইয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ ফাঁকাজমির মালিকদের থেকে জঙ্গল পরিষ্কারের খরচ আদায় করারচেষ্টা করছে এনকেডিএ। দু’-একজনকে নকশা অনুমোদনের সময়ে সেই বিল ধরানো হয়েছেবলেও আধিকারিকেরা দাবিকরেছেন।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, বর্তমানে নিউ টাউনে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। সংস্থার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষার পরে পুজোশেষ হলেই ধীরে ধীরে আবার মশার উপদ্রব বাড়বে। ফলে,এখন থেকেই সচেতনতার প্রচার শুরু হয়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে কিনা, সরেজমিনে তাদেখতে এনকেডিএ-র দল পরিদর্শনে গেলে তাদের যাতে ভিতরেঢুকতে দেওয়া হয়, তার জন্য আবাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়াহয়েছে বলেও খবর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)