Advertisement
E-Paper

অপরাধী ধরতেও ভরসা সিসিটিভি

২৭ জুলাই দুপুরে পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতী লেক থানা এলাকার যোধপুর পার্কের একটি সোনার দোকানে ঢুকে গয়না এবং নগদ টাকা লুঠ করে পালায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি থেকে পুলিশ অভিযুক্তদের চলে যাওয়ার ভিডিও পায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ০২:০১

মাস চারেক আগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল সদ্যোজাত। ঘটনার কিনারা করতে সন্দেহভাজন শিশু চোরের ছবি সহ তিন জায়গার সিসিটিভি-র ছবি প্রকাশ করেছিল পুলিশ। যা দেখে গ্রেফতার হয়েছিল অভিযুক্ত। সেই ঘটনা মাথায় রেখে এ বার লেক থানা এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার অভিযুক্তদের ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করল লালবাজার। পাশাপাশি তারা ঘোষণা করেছে, অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কারও দেওয়া হবে। এর আগে দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ করলেও অভিযুক্তদের ধরতে ভিডিও প্রকাশ করা এক কথায় অভিনব।

২৭ জুলাই দুপুরে পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতী লেক থানা এলাকার যোধপুর পার্কের একটি সোনার দোকানে ঢুকে গয়না এবং নগদ টাকা লুঠ করে পালায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি থেকে পুলিশ অভিযুক্তদের চলে যাওয়ার ভিডিও পায়। যাতে তিন দুষ্কৃতীকে ট্যাক্সি করে ঢাকুরিয়ার দিকে যেতে দেখা গিয়েছে।

কেন ওই ছবি প্রকাশ করল লালবাজার? পুলিশ সূত্রের দাবি, ছবি দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্তেরা নতুন। লালবাজারের অপরাধীর নথিপঞ্জিতে ওই দুষ্কৃতীদের ছবি নেই। তাই সন্দেভাজনদের শনাক্ত করার জন্যই ওই পন্থা বেছে নিয়েছে পুলিশ। তাদের মতে, ছবি দেখে অনুমান করা হচ্ছে সন্দেহভাজনরা ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। তাই সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশ করে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, এই ‘ওয়ান্টেড’ দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে যে কেউ গোয়েন্দা বিভাগের ডাকাতি দমন শাখায় বা গোয়েন্দা প্রধানের দফতরে জানাতে পারবেন। খবর জানালে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখার আশ্বাসও দিয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, লেক এলাকার গয়নার দোকানে ডাকাতিতে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা অস্ত্র নিয়েই ঘোরাফেরা করছে।

কেন হঠাৎ সিসিটিভি ফুটেজ সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দিল পুলিশ?

গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, জনগণের সাহায্য নিয়েই অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছবি দেওয়ার সুবিধা মেডিক্যালের শিশু চুরির ঘটনাতেও পুলিশকে সাফল্য এনে দিয়েছিল। পাশাপাশি পুলিশের একটি অংশের মতে, অপরাধীরা কোনও গোপন ডেরায় ঘাপটি মেরে রয়েছে। যার হদিস তদন্তকারীরা পাচ্ছেন না। এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা ভয় পেয়ে ডেরা বদল করতে পারে। তার জন্য গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাদের। সেই সুযোগেই তাদের জালে ফেলতে পারবেন গোয়েন্দারা।

CCTV Crminals Arrest Police সিসিটিভি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy