Advertisement
E-Paper

রোমিতা মৃত্যুর পেছনে কি অন্য কেউ? মোবাইলের তথ্যে বাড়ছে রহস্য

গত জুলাই মাসে গড়িয়ার বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রোমিতা ভট্টাচার্যের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:০৮
রোমিতা ভট্টাচার্য।—নিজস্ব চিত্র।

রোমিতা ভট্টাচার্য।—নিজস্ব চিত্র।

স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের করা মানসিক নির্যাতনেই কি আত্মঘাতী হয়েছিলেন গড়িয়ার রোমিতা? না কি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য?

পুলিশ সূত্রে খবর, রোমিতার বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল থেকে মিলেছে সে রকমই বেশ কিছু ইঙ্গিত যা মোড় ঘোরাতে পারে তদন্তের।

গত শুক্রবার সকালে গড়িয়ার উত্তর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ২৬ বছরের রোমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বন্ধ ঘর থেকে। তার আগে সোমবারই তিনি একটি ব্যাঙ্কের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: গড়িয়ায় বধূর মৃত্যুতে স্বামীর পুলিশি হেফাজত

গত জুলাই মাসে গড়িয়ার বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রোমিতা ভট্টাচার্যের। দেহ উদ্ধারের পর রোমিতার পরিবার পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তাঁরা অভিযোগ করেন, শুভ্রজ্যোতি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন রোমিতার উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। তাদের অভিযোগ ছিল, রোমিতার চাকরি করা নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁর শাশুড়ির। সব মিলিয়ে মানসিক নির্যাতনের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন রোমিতা।

অভিযোগ পেয়ে পাটুলি থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ (বধূ নির্যাতন) এবং ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। মৃতার স্বামী শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়কে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সোমবার ফের শুভ্রজ্যোতিকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা অভিযোগ করেন,‘‘পুলিশ একপেশে তদন্ত করছে।পুলিশের উচিৎ মৃতার বিভিন্ন যোগাযোগ, ফোনে যোগাযোগ তদন্তের পরিধির মধ্যে আনা। সেখান থেকে অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে।’’অভিযোগের সপক্ষে এ দিন বিচারককে কিছু নথি জমা দেন অভিযুক্তের আইনজীবী। এ দিন বিচারক অভিযুক্তের এক দিন পুলি‌শি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে, তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নূর​

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার মোবাইল থেকে এক ব্যক্তির নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যাঁর সঙ্গে মৃতার ফোনে এবং বিভিন্ন অ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য মিলেছে। সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তাঁর সঙ্গে এই আত্মহত্যার কোনও যোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিয়ের দেড় বছরের মধ্যে দু’বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন রোমিতা। সেই সময় তিনি শুভ্রজ্যোতিকে বলেছিলেন যে, তিনি রিউম্যাটিক আর্থারাইটিসের রোগী। তীব্র যন্ত্রণায় তিনি অবসন্ন হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

সূত্রের খবর, পুলিশকে জেরায় শুভ্রজ্যোতি জানিয়েছেন যে, চেন্নাই নিয়ে গিয়ে রোমিতার চিকিৎসাও করিয়েছেন তিনি। সেই সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা ওই দু’টি তথ্যই খতিয়ে দেখছেন।

Crime Suicide garia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy