কয়েক বছর আগেও এ রাজ্যে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন ছিল বিরল ঘটনা। ইদানীং একাধিক হাসপাতালে এই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের হাসপাতালে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পরে সুস্থ থাকা ২৭ জনকে হাজির করেছিল ঠাকুরপুকুরের সরোজ গুপ্ত ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর অর্ণব গুপ্ত জানান, রক্ত এবং বিশেষ কয়েকটি গ্ল্যান্ডে ক্যানসার বাসা বাঁধলে সেই সব রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। খুব উচ্চমাত্রার কেমোথেরাপির জন্য রক্তের উপাদানগুলি শুকিয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়, দেখা দেয় অন্য উপসর্গও। তখন রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করে তাঁকে সুস্থ করে তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় রোগীর শরীরে যাতে নতুন করে সংক্রমণ না হয়, সে জন্য সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ নজরদারিও চালাতে হয়। হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার অঞ্জন গুপ্ত জানান, ২০১৩-র জানুয়ারি থেকে তাঁদের হাসপাতালে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে।
কী ভাবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়, তা স্লাইড শো-এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম গুপ্ত। শিশু-ক্যানসার চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘আগে শহরে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবাই যেত না। কিন্তু ইদানীং অন্য রাজ্যের চেয়ে অনেক কম খরচে তা হচ্ছে। রোগীরা সুস্থও হচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy