E-Paper

তার কেটেছে ককলিয়ার যন্ত্রের, পিজিতে ভিন্ রাজ্যের শিশু

এসএসকেএমের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকদের শিশুর পরিজনেরা জানিয়েছেন, কানের ভিতরে বেরিয়ে আসা ককলিয়ার যন্ত্রের তারকে সুতো ভেবে কেটে ফেলেছেন।

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৫ ০৫:৪৭
এসএসকেএম হাসপাতাল।

এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

জন্মগত ভাবে বধির পাঁচ বছরের একটি শিশুর অন্তঃকর্ণে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ককলিয়ার যন্ত্র। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি। উল্টে কানে যন্ত্রণার সঙ্গেসংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। ভিন্ রাজ্য থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে আসা ওই শিশুকে পরীক্ষা করে বিস্মিত চিকিৎসকেরা। কারণ, তার অন্তঃকর্ণে যে যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, সেটির সূক্ষ্ম একটি তার কাটা রয়েছে!

কিন্তু যন্ত্রের তার তো এমনভাবে কেটে যাওয়া সম্ভব নয়। তা হলে কাটল কী ভাবে? এসএসকেএমের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকদের ওই শিশুর পরিজনেরা জানিয়েছেন, কানের ভিতরে বেরিয়ে আসা ককলিয়ার যন্ত্রের তারকে সুতো ভেবে কেটে ফেলেছেন। তবে ককলিয়ার যন্ত্রের তার কী ভাবে কানের ভিতরে বেরিয়ে এল, সেটাও ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।

জানা যাচ্ছে, গত মে মাসে ওই রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিহারের বাসিন্দা ওই বালকের ককলিয়ার প্রতিস্থাপন হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সমস্যা হওয়ায়দিনকয়েক আগে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগে শিশুটিকে নিয়ে আসেন তার বাবা। ওই হাসপাতালের ‘ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’ বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক অরিন্দম দাস জানাচ্ছেন, শিশুটির কানে খুব যন্ত্রণা হচ্ছেবলে জানানো হয়। তখন পরীক্ষা করে জানা যায় সমস্যাটি। তিনি বলেন, ‘‘ভিতরে একটি সূক্ষ্ম তার কাটা রয়েছে বলে মনে হচ্ছিল। ব্যাপার কী,জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল সমস্যার আসল কারণ।’’ বালকের বাবা জানিয়েছেন, কানে ব্যথা হওয়ায় শিশুটির মা টর্চেরআলোয় দেখেন, সরু সুতোর মতো কিছু একটা বেরিয়ে এসেছে। সেটির জন্যই কানে ব্যথা হচ্ছে ভেবে তিনি তা টেনে বার করার চেষ্টা করেন। তাতে তার কিছুটা বেরিয়ে আসতেই কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই ছেলেকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন বলে জানান তার বাবা। সব শুনে বিস্মিত অরিন্দম, মৈনাক মৈত্র-সহ বহির্বিভাগে উপস্থিত চিকিৎসকেরা।

সূত্রের খবর, শিশুটির বাবাকে চিকিৎসকেরা জানান, তার কেটে যাওয়ায় ককলিয়ার যন্ত্রটি আর কাজ করবে না। পুনরায় নতুন যন্ত্র প্রতিস্থাপিত করতে হবে।অরিন্দমের কথায়, ‘‘সংক্রমণের কারণে শিশুটির কানে পুঁজ জমে গিয়েছে। সেটি সারানোর জন্য ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ সেরে গেলে পরবর্তী অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনাকরা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

SSKM SSKM PG

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy