প্রতীকী ছবি।
আতঙ্ক কমার তো কোনও লক্ষণই নেই, বরং বেড়েই চলেছে। নাকতলার বাসিন্দা সপ্তর্ষি রায়বর্ধন সপরিবার বন্ধুদের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া যাত্রাও বাতিল করেছেন। নেপথ্যে নোভেল করোনাভাইরাস (এনসিওভি)-এর আক্রমণের ভয়। তিনি চাইছেন আপাতত উড়ান বাতিল করে যাত্রার সময় পিছিয়ে দিতে।
বিমান সংস্থাগুলি জানাতে, ভাইরাসের ভয়ে মার খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝাও-এর উড়ান বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ডিগো। আপাতত ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উড়ান বন্ধ থাকবে।
চিনের কুনমিং শহরে কলকাতা থেকে সপ্তাহে আটটি করে উড়ান চালাচ্ছিল চায়না ইস্টার্ন উড়ান সংস্থা। তারাও উড়ান সংখ্যা কমিয়ে চারটিতে নামিয়ে এনেছে বলে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে হংকং যাওয়া ড্রাগন এয়ারওয়েজ সপ্তাহে সাতটি উড়ানই চালাচ্ছে। কিন্তু, তাদের ১৬৬ আসনের বিমানে যাত্রী সংখ্যা কমে ৬০-এর কাছাকাছি নেমে এসেছে।’’
শুধু চিন, হংকং নয়, সম্প্রতি ব্যাঙ্কক এবং সিঙ্গাপুর থেকেও কলকাতায় আসা যাত্রীদের থার্মাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে সব চেয়ে বেশি উড়ান রয়েছে ব্যাঙ্ককে। এয়ার এশিয়ায় ব্যাঙ্ককের যাত্রী না কমলেও ইন্ডিগোর উড়ানে তা কমতে শুরু করেছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ককে উড়ান চালানো বাকি সংস্থার বিমানেও যাত্রী সংখ্যা কমতির দিকে।
শনিবার ইন্দোনেশিয়া যাওয়া বাতিল করলেন কেন? বেসরকারি সংস্থার কর্তা সপ্তর্ষির কথায়, ‘‘বলা তো যায় না। বালি-তে সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে যদি সংক্রমণ হয়!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের এখানে মরসুম বদলের সময়ে অনেকেরই হাল্কা জ্বর, সর্দি হয়। ধরুন, সেখানে নামার পরে আমাদের কারও জ্বর বা সর্দি দেখে সেখানকার সরকারের সন্দেহ হল। সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য আলাদা করে রাখা হবে। ভাবতে পারছেন কী অবস্থা হবে। না পারব বেড়াতে, না পারব ফিরতে।’’
সপ্তর্ষিবাবুরা আপাতত এপ্রিলের শেষে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। ‘‘অগ্রিম টাকা দিয়ে হোটেল বুক করা হয়েছে। তারা বলেছে মে মাসের মধ্যে এলে থাকতে দেবে। কিন্তু, এয়ার এশিয়ার টিকিট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। টাকা ফেরত দিতে চাইছে না। এপ্রিল মাসে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে বলছে’’ — উক্তি সপ্তর্ষির।
ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, চিন, হংকং, ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর, জাপান, ইন্দোনেশিয়া-সহ একটি বড় অংশে কলকাতা থেকে বিমানযাত্রীর সংখ্যা কমছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরাও এই সব দেশে যেতে মানা করছি। আমাদের আশা, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে উড়ান সংস্থাগুলিও যাত্রীদের প্রতি সদয় হবে। টিকিটের টাকা ফেরত না দিলেও অন্য দিনে ওই টিকিটে যাতে যাত্রা করা যায় তার ব্যবস্থা করে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy