Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অসচেতন বাসিন্দারা, পাত্রে জল জমানো চলছেই

ঠিক এক বছর আগে বর্ষার শুরুতেই বিধাননগর পুরসভার একাধিক এলাকায় ছড়িয়েছিল মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের।

বিপদ: পরিত্যক্ত টায়ারের মধ্যে জমে রয়েছে জল। সল্টলেকের করুণাময়ী এলাকায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্ষ

বিপদ: পরিত্যক্ত টায়ারের মধ্যে জমে রয়েছে জল। সল্টলেকের করুণাময়ী এলাকায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্ষ

কাজল গুপ্ত
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০১:২১
Share: Save:

ঠিক এক বছর আগে বর্ষার শুরুতেই বিধাননগর পুরসভার একাধিক এলাকায় ছড়িয়েছিল মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের।

সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার বর্ষার আগে থেকেই শুরু হয়েছে সচেতনতা কর্মসূচি। অন্তত তেমনই দাবি পুরসভার। পুর প্রশাসন জানাচ্ছে, খোলা জায়গায় জল জমতে না দিলে সমস্যা অনেকটাই কমবে। সে কারণে এলাকা থেকে দ্রুত জমা জল সরানো এবং ঝোপ-জঙ্গল সাফ করার দিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়েও বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে। তাতে সাড়াও মিলছে।

যদিও সব অঞ্চলে চিত্রটা এমন নয়। বিশেষত সংযুক্ত ও প্রান্তিক এলাকা এবং ঝুপড়িগুলিতে রোজকার কাজের জন্য খোলা এবং অপরিষ্কার পাত্রে জল জমিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে। সেই জমা জলে মিলছে লার্ভা। বিষয়টি নিয়ে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের একাধিক বার সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও তেমন ফল পাওয়া যায়নি। সেটাই মাথাব্যথা স্থানীয় প্রশাসনের।

বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কাজ করতে নেমে এমন সমস্যার মুখে পড়েছে ওয়ার্ড কমিটি। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত বলেন, ‘‘এলাকায় জলের সরবরাহ আগের থেকে বাড়িয়েছে পুরসভা। কিন্তু তার পরেও বাসিন্দাদের একাংশ খোলা পাত্রে জল ধরে রাখছেন। সেই জলে লার্ভাও পাওয়া যাচ্ছে।’’

পুরসভা জানাচ্ছে, নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে অস্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি করে জল ধরে রাখা হচ্ছে। মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও। কর্মরত শ্রমিকদের কথায়, কাজের পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের নানা প্রয়োজনে ওই জল ব্যবহার করতে হয়। বাধ্য হয়েই এমন ভাবে জল ধরে রাখতে হয়। তবে পুরসভার দাবি, এ বার শুরু থেকেই ওই নির্মাণ-এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে, যাতে খোলা জায়গায় জল না জমে থাকে।

১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল হোসেন মণ্ডল জানান, ওয়ার্ডে নির্মীয়মাণ বাড়ির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সে সব বাড়িতে নজরদারির পাশাপাশি শুরু হয়েছে সচেতনতা-অভিযান। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুজিত মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পরিকাঠামো এবং কর্মী-সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে নজরদারি এবং সচেতনতায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Mosquito Stagnant Water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE