কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত শহরের পথে থাকবে হাজার সাতেক পুলিশ। নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে এর পাশাপাশি থাকছে শহর জুড়ে মোট ২৭টি ওয়াচ টাওয়ার। রাস্তার বিভিন্ন সিগন্যালে সিসিটিভি ক্যামেরা তো থাকছেই, সঙ্গে আরও ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দেবে ৪০টি হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ২৫টি কুইক রেসপন্স টিম, ১৫টি ওয়্যারলেস পাইলট গাড়ি। শুধু তা-ই নয়, ১০৬টি অটো নিয়ে পুলিশকর্মীরা ঘোরাফেরা করবেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। ১২টি টহলদারি গাড়িও থাকবে বলে জানান লালবাজারের এক কর্তা। পাশাপাশি, কালীপুজোর রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পঁচিশটি দলও থাকবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
কালীপুজোর রাতে কালীঘাট-সহ শহরের ১৭টি মন্দিরেও পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা রাখছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার লালবাজারে পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমার গায়ে অনেক অলঙ্কার থাকে। সেই সব অলঙ্কারে যাতে কেউ হাত না দিতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
মন্দির ছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্তের পুজোতেই নজর রাখা হবে। লালবাজার সূত্রে খবর, সারা শহরে বারোয়ারি কালীপুজোর সংখ্যা ৩২৮৮টি। এই সব পুজোর এলাকায় যাতে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা না হয়, তার জন্য পুলিশি টহল বাড়ানো হচ্ছে।
কালীপুজোর আগে শহরে শব্দবাজি রুখতে বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তার সঙ্গেই এ সময়ে আইন-শৃঙ্খলার দিকেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। পুলিশ জানায়, শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই অভব্য আচরণের অভিযোগে ১৮২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy