ফাইল চিত্র।
যান নিয়ন্ত্রণ করার সময়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের অনুপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডেরা গাড়ির নথি পরীক্ষা করতে পারবেন না। নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে অভিযুক্তকে। জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরও। কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহের তরফে রবিবার সব ট্র্যাফিক গার্ডকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডেরা কোনও ভাবেই গাড়ির নথি পরীক্ষা করতে পারবেন না। তাঁদের সঙ্গে থাকা ট্র্যাফিক সার্জেন্ট বা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী সেই কাজ করবেন। এত দিন ওই নিয়ম থাকলেও অভিযোগ উঠছিল, বেশির ভাগ জায়গায়, বিশেষত রাতে নাকা তল্লাশির সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা নথি দেখতে চাইতেন। কোথাও কোথাও আবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছিল। পুলিশের একাংশের অনুমান, এই সব অভিযোগ নজর এড়ায়নি লালবাজারের । তাই এই পদক্ষেপ।
তবে এই নির্দেশ কত দিন কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশেরই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, শহরের ট্র্যাফিক গার্ডে প্রয়োজনের তুলনায় কনস্টেবলের সংখ্যা কম। সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের। সেই সুযোগে কোথাও অনিয়ম ঘটতে পারে। যদিও পুলিশকর্মীদের আর একটি অংশের অভিযোগ, সব সময়েই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে নাকা তল্লাশি করানো হয়। ফলত, নাকা তল্লাশি চালানোর সময়ে অফিসারেরা তাঁদের উপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে এক পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, এই নির্দেশ নতুন নয়। সার্জেন্টের অনুপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনও অধিকার নেই গাড়ির নথি পরীক্ষা করার। সেই কথা আধিকারিকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র।
লালবাজার জানিয়েছে, রাতে নাকা তল্লাশির সময়ে পুলিশকর্মীরা যাতে কারও প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে পড়েন, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশে। পাশাপাশি, ট্র্যাফিক আইন ভেঙে কেউ কর্তব্যরত অফিসারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে বা কোনও রকম দুর্ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট অফিসার যাতে তাঁর বডি ক্যামেরা ‘অন’ করে পুরো বিষয়টি রেকর্ড করে রাখেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy