Advertisement
E-Paper

সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে আর ওয়াকিটকি নয়, নির্দেশ

এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে শহরের কম গুরুত্বহীন, ছোট রাস্তার সংযোগস্থলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে ওয়াকিটকি দেওয়া হত। যাতে তাঁরা প্রয়োজনে যান চলাচলের খবর জানাতে পারেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২৪
লালবাজারে ট্র্যাফিকের কর্তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত।

লালবাজারে ট্র্যাফিকের কর্তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। ফাইল চিত্র।

রাস্তায় যান-শাসনের দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবেন না। ডিউটিতে থাকার সময়ে তাঁদের হাতে ওয়াকিটকি দেওয়া যাবে না বলে সম্প্রতি লালবাজারে ট্র্যাফিকের কর্তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার জেরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে ওয়াকিটকি দেওয়া বন্ধ করেছে বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ওয়াকিটকি লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ মেনে সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।

কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশের মতে, বর্তমানে ট্র্যাফিক অফিসার, অর্থাৎ সার্জেন্ট ছাড়া কনস্টেবল, হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে ওয়াকিটকি থাকে, যাতে তাঁরা যান নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি দ্রুত জানাতে পারেন এবং এক বিটের (বিভিন্ন রাস্তার মোড়) সঙ্গে অন্য বিটের যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। কিন্তু তাতে দেখা যাচ্ছে, ওয়াকিটকি নিয়ে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে কোনও ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসারের পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ বার্তার মাঝে আচমকাই অন্য কোনও গুরুত্বহীন বার্তা ঢুকে পড়ছে। তাতে কাজে অসুবিধা হচ্ছিল বলে পুলিশকর্তারা মনে করেছেন। অভিযোগ, ভিআইপি যাতায়াতের সময়েই এই সমস্যাটা সব চেয়ে বেশি হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই জন্য যতটা সম্ভব ওয়াকিটকির ব্যবহার কমানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছেন লালবাজারের কর্তারা।

এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে শহরের কম গুরুত্বহীন, ছোট রাস্তার সংযোগস্থলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে ওয়াকিটকি দেওয়া হত। যাতে তাঁরা প্রয়োজনে যান চলাচলের খবর জানাতে পারেন। সেই বার্তা শুনে ব্যবস্থাও নেওয়া হত অনেক সময়ে। কিন্তু লালবাজারের নির্দেশ মেনে শহর জুড়ে এখন স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যান চলাচলের গতি একই সূত্রে বাঁধা থাকে। তাই ট্র্যাফিক সংক্রান্ত কোনও বার্তা সে ভাবে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাই তাঁদের থেকে ওয়াকিটকি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। লালবাজারের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ব্যস্ত সময়ে অপ্রয়োজনীয় নির্দেশ আসা বা নির্দেশ না মানার অভিযোগ কমবে।

তবে পুলিশেরই আর একটি অংশের মতে, বর্তমানে ট্র্যাফিক পুলিশের বিভিন্ন গার্ডে কনস্টেবলের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। সেই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে কাজ চালানো হয়। তাই তাঁদের থেকে ওয়াকিটকি নিয়ে নিলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Civic Volunteers Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy