পুলিশের সামনেই হাতাহাতি। রবিবার, খড়দহে। নিজস্ব চিত্র
অটো এবং যাত্রিবাহী ভ্যানচালকদের সংঘর্ষে রবিবার সকালে ধুন্ধুমার বাধল খড়দহের বন্দিপুরে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের পাঁচ জন জখম হয়েছেন। এর পরেই অটোচালকেরা বেশ কিছু ক্ষণ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। দু’পক্ষের অভিযোগ, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে।
অটোচালকদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঘোলা থানার মুড়াগাছা থেকে ব্যারাকপুরের ওয়্যারলেস মোড় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে অটো চালাচ্ছেন। এ দিকে, পরিবহণ দফতর বা প্রশাসনের তরফে তার ‘রুট পারমিট’ ছিল না। দিন কয়েক আগে একই রুটে ভ্যানগাড়ির অনুমোদন দেয় আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। ভ্যানগাড়িগুলি ওয়্যারলেস মোড় হয়ে নীলগঞ্জ পর্যন্ত যাচ্ছে। সেগুলি চলতে শুরু করার পরেই গোলমালের সূত্রপাত। ভ্যানচালকদের অভিযোগ, চালু হওয়ার পর থেকেই অটোচালকেরা তাঁদের বাধা দিচ্ছেন।
যেহেতু এই রাস্তা দিয়ে বাস বিশেষ চলে না, তাই এলাকাবাসীও অটোর উপরেই ভরসা করেন। তবে অটোচালকদের দাদাগারি এবং মর্জি মতো ভাড়া চাওয়া নিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভ ছিল। রবিবারও সকাল থেকেই অটো ও ভ্যানচালকদের গোলমাল শুরু হয়। অটোচালকদের অভিযোগ, ভ্যানচালকেরা বন্দিপুরের পাটনা মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। যাত্রী নিয়ে একটি অটো ব্যারাকপুরের দিকে যাওয়ার সময়ে পাটনা মোড়ে সেটিকে আটকে তার যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়। ওই অটোচালক এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রহৃত অটোচালকের থেকে খবর পেয়ে অন্য অটোচালকেরা সেখানে পৌঁছন। পাটনা মোড়ে রাস্তার উপর বসে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এর ফলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ভ্যানচালকেরা সেখানে পৌঁছলে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। অটোচালকদের অভিযোগ, তাঁদের মারধর করেন ভ্যানচালকেরা। রুখে দাঁড়ালে দু’পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। জখম হন পাঁচ জন। সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অবরোধে আটকে থাকা গাড়ির যাত্রীরা। পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। স্থানীয়দের দাবি, শেষ পর্যন্ত মৃদু লাঠি চার্জ করতে হয়। সংঘর্ষ থামলেও ঝামেলা মেটেনি। ফলে ওই রুটে এ দিন অটো এবং ভ্যান চলেনি।
অটোচালকদের বক্তব্য, ওই রুটে মোট ৮০টি অটো চলে। মালিক এবং চালক মিলে প্রায় দেড়শ পরিবার এই রুটের উপরে নির্ভরশীল। ভ্যান চালু হলে তাঁদের রুটিতে টান পড়বে বলে দাবি তাঁদের। দাবি, ভ্যানের রুট বড় বলে তাদের যাত্রী বেশি হচ্ছে। ভ্যানচালকদের বক্তব্য, ঋণ নিয়ে নতুন গাড়ি কিনে তাঁরা যদি তা চালাতে না পারেন, তা হলে ঋণের বোঝা বেড়ে যাবে। তাঁদের না খেয়ে থাকতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবে লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy