এটিএম জালিয়াতির তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। অবাক হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারাও। এত দিন জানা গিয়েছিল, অন-লাইনে স্কিমার যন্ত্র বেচাকেনা হয়। খোলা বাজারেও পাওয়া যায়। নেপাল সীমান্তে ধৃত রোমানীয় দলের মাথা ‘নানা’ ওরফে আইকো আরেলকে জেরা করে জানা গেল, ‘ডার্ক ওয়েব’-এর মাধ্যমেও ক্লোন করার জন্য কার্ড, স্কিমার এবং এমনকি কার্ড তৈরির জন্য ‘ডেটা’ও বিক্রি হয়!
লখনউয়ে গ্রেফতার আদ্রিয়ান লিভিউ আবার কার্ড ক্লোন করার ‘মাস্টারমশাই’। তার সহযোগী ছিল করনেল কনস্ট্যানটিয়ান। এই তিন জনকেই শুক্রবার কলকাতায় এনে ব্যাঙ্কশালে কোর্টে তোলা হয়। ধৃতের হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। রাতেই তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই উঠে আসে ‘ডার্ক ওয়েব’-এর বিষয়টি।
এটিএম জালিয়াতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত মাত্র পাঁচ জন রোমানীয় পুলিশের জালে পড়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা এই দলে রয়েছে আরও অনেকে। তাদের সন্ধান পেতে কলকাতা পুলিশ রোমানীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ বছরের শুরুতে মোট কতজন রোমানীয় ভারতে ঢুকেছে, সেই তথ্য পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।