Advertisement
E-Paper

শম্ভুনাথ, রামরিক পরিদর্শনে মমতা

ফোনে মেয়রকে ১০০ দিনের কর্মী লাগিয়ে সাফাইয়ের নির্দেশ দেন। পরে ওই ফোন সুপারকে এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘মেয়রের সঙ্গে কথা বলুন।’’ মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে ঢোকেন। আসেন পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের ডিজি ও স্থানীয় কাউন্সিলরও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০১:৫৯
সরেজমিন: হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

সরেজমিন: হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে আচমকা হাজির মুখ্যমন্ত্রী! প্রথমে ভবানীপুরের রামরিক দাস হরলালকা হাসপাতাল, তার পরেই শম্ভুনাথ পণ্ডিত।

অথচ তাঁর আসার আভাস কারও কাছেই ছিল না। ফলে মঙ্গলবার ভবানীপুর থানার পুলিশ যখন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের সুপার সৌমাভ দত্তের ঘরে গিয়ে খবর দেন, তত ক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ইমার্জেন্সির সামনে পৌঁছে গিয়েছে। খবর পেয়ে পৌঁছন সৌমাভবাবু। রামরিকের সুপার পার্থ দে অবশ্য ছুটিতে ছিলেন। প্রথমে সেখানকার মেল ওয়ার্ডের কয়েক জন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে যান শম্ভুনাথে। সেখানে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জাল জমে থাকতে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

ফোনে মেয়রকে ১০০ দিনের কর্মী লাগিয়ে সাফাইয়ের নির্দেশ দেন। পরে ওই ফোন সুপারকে এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘মেয়রের সঙ্গে কথা বলুন।’’ মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে ঢোকেন। আসেন পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের ডিজি ও স্থানীয় কাউন্সিলরও। মেয়র জানান, হাসপাতালের ভিতরের জঞ্জাল পরিষ্কারের ভার পূর্ত দফতরের। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই জঞ্জাল দফতরের কর্মীদের এনেছেন তিনি। শুরু হয়ে যায় সাফাই। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, আগামী তিন মাস প্রতিদিন তিনটি শিফটে ৫০ জন কর্মী সাফাইয়ের কাজ করবেন।

আরও পড়ুন: আরাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনবেন মুখ্যমন্ত্রীই

প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা সরকারি হাসপাতালগুলি পরিদর্শন শুরু করেন। দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই পরিদর্শন সংখ্যায় কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। সেই ‘ট্র্যাডিশন’ থেকেই এ দিন তিনি ওই দুই হাসপাতালে যান। শম্ভুনাথের সুপারের কাছে ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত ডাক্তার রয়েছেন কি না জানতে চান। এর পরে হাসপাতাল চত্বরে জমা ময়লা নিয়ে সুপারকে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌমাভবাবু পরে বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাই, পূর্ত দফতরের কিছু কাজ চলছে। সাফাইকর্মী কম। এ সবের জন্যই অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল।’’

Mamata Banerjee Sambhunath Pandit Hospital মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy