দুর্ভোগ: স্কুল থেকে ফেরার পথে আটকে যানজটে। শুক্রবার, লেনিন সরণিতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
এক দিকে রাজপথে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল। অন্য দিকে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের এক দিক বন্ধ। দুইয়ে মিলে শুক্রবার যানজটে ভুগতে হল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলের এক দিক বন্ধ থাকায় এ দিন সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়েছিল নিউ টাউন ও সল্টলেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের দিক থেকে শহরমুখী অধিকাংশ গাড়ি নিউ টাউনে ঢোকায় বিশ্ব বাংলা সরণি হয়ে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে যাওয়ার রাস্তায় যানজট হয়েছিল। সেই ধাক্কায় নিউ টাউনের বহু এলাকা ও পাঁচ নম্বর সেক্টরে গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। নিউ টাউনের চিনার পার্ক, নারকেলবাগান, নজরুলতীর্থ মোড়, পাঁচ নম্বর সেক্টর ও চার নম্বর সেক্টরের লোহাপুল থেকে ই এম বাইপাসে যাওয়ার পথেও যানজট হয়।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে জল সংরক্ষণের জন্য মিছিল শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে সেই মিছিল ধর্মতলার দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে পুলিশ। তার ফলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের পাশাপাশি মহাত্মা গাঁধী রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও যানজট তৈরি হয়। মিছিল বৌবাজার পেরোনোর পরে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এবং তার পরে লেনিন সরণি ও এস এন ব্যানার্জি রোডে যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ওই সব রাস্তায় গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্রের মতে, শহরের কোনও বড় রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হলে তার প্রভাব আশপাশের রাস্তায় পড়া স্বাভাবিক। তবে পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের জন্য সাময়িক যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। মিছিল কোনও এলাকা পেরিয়ে গেলেই যান চলাচল শুরু করা হয়। যানজট মাত্রাতিরিক্ত হয়নি বলেও পুলিশের একাংশের দাবি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার কেএমডিএ-র আধিকারিক এবং সেতু বিশেষজ্ঞেরা উল্টোডাঙা উড়ালপুল পরীক্ষা করলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মেরামতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy