E-Paper

কবি সুভাষ স্টেশনে গরম, এগ্‌জ়স্টের শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মেট্রো স্টেশনে বায়ু চলাচলের জন্য জেট এগ্‌জ়স্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থায় অন্যান্য মেট্রো স্টেশনের মতো বাতানুকূল যন্ত্রের ডাক্ট বা পাইপ নেই। তার বদলে বিমানের ইঞ্জিনের মতো পাইপে ঢাকা কিছু পাখা রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ০৮:৪৪
Share
Save

নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের জন্য কবি সুভাষ স্টেশনের নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। তেতলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলে মেট্রোর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সব চেয়ে উপরের তলটি ভবিষ্যতে বারুইপুর পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণের কথা ভেবে তৈরি রাখা হয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে ওই স্টেশনকে গড়ে তোলা হলেও সেটির ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। ওই স্টেশনের নীচের তলায় বুকিং কাউন্টার এবং যাত্রীদের ঢোকা-বেরোনোর পথ রয়েছে। উপরতলার প্ল্যাটফর্ম তুলনায় খোলামেলা হলেও নীচের তলটি চার দিক দিয়ে ঘেরা। ওই অংশে বায়ু চলাচলের সমস্যা থাকায় সেখানে প্রবেশ করলেই যাত্রীদের প্রবল গরম লাগছে। যাত্রীদের পাশাপাশি মেট্রোকর্মীদেরও প্রায়ই গরমের অস্বস্তি সামলে কাজ করতে হয়।

মেট্রো স্টেশনে বায়ু চলাচলের জন্য জেট এগ্‌জ়স্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থায় অন্যান্য মেট্রো স্টেশনের মতো বাতানুকূল যন্ত্রের ডাক্ট বা পাইপ নেই। তার বদলে বিমানের ইঞ্জিনের মতো পাইপে ঢাকা কিছু পাখা রয়েছে। সেগুলি রিলে পদ্ধতিতে পিছনের হাওয়া টেনে সামনের দিকে ছুড়ে দেয়। সব শেষে স্টেশনের ছাদে বসানো এগ্‌জ়স্ট পাখা ভিতরের গরম হাওয়া টেনে বার করে। কবি সুভাষ স্টেশনের যাত্রী এবং মেট্রোকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ওই ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে, গরম সহ্য করেই কাজ করতে হয় তাঁদের।

অন্য দিকে, ওই স্টেশনের ছাদে থাকা এগ্‌জ়স্ট প্রায়ই শুক্রবার বিকেলে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পরে চালিয়ে দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ। তীব্র শব্দে ওই পাখা দিন-রাত চলতে থাকে। প্রসঙ্গত, ওই মেট্রোপথে সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিষেবা খোলা থাকে।

কাছাকাছি থাকা একাধিক আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তীব্র শব্দে ওই পাখা চলে। কখনও গভীর রাতেও ওই পাখা চালানো হয়। পাখার তীব্র শব্দে তাঁদের টেকা দায় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। ওই স্টেশন সংলগ্ন একটি আবাসনের এক বাসিন্দা মেট্রো কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও বিষয়টি জানান। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ আহমেদ নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন এ নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

জেট শ্রেণির ওই এগ্জ়স্ট পাখা তীব্র শব্দের কারণেই সব সময়ে চালানো যায় না বলে জানাচ্ছেন মেট্রোকর্মীদেরই একাংশ। পাখা না চালানোর জন্য স্টেশনে যাত্রীদের গরম লাগে। আবার পাখা চলার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য তা শব্দদূষণ তৈরি করে। এর জন্য স্টেশনের ত্রুটিপূর্ণ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাকেই দুষছেন যাত্রীদের একাংশ। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁরা অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে অভিযোগকারীকে জানিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kolkata Metro Kolkata metro services

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।