Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ঝিলে কাঠামো কেন, অভিযোগ পুরসভায়

বিসর্জনের পরেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হবে গঙ্গা-সহ শহরের সব জলাশয় থেকে। এমনই ঘোষণা ছিল পুর প্রশাসনের। কিন্তু বেহালার শকুন্তলা পার্কের একটি বড় ঝিলে সোমবার দুপুরেও ভাসতে দেখা গেল বেশ কিছু প্রতিমার কাঠামো।

দূষণ: বিসর্জনের পরে ঝিলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। সোমবার, বেহালায়। নিজস্ব চিত্র

দূষণ: বিসর্জনের পরে ঝিলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। সোমবার, বেহালায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১৯
Share: Save:

বিসর্জনের পরেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হবে গঙ্গা-সহ শহরের সব জলাশয় থেকে। এমনই ঘোষণা ছিল পুর প্রশাসনের। কিন্তু বেহালার শকুন্তলা পার্কের একটি বড় ঝিলে সোমবার দুপুরেও ভাসতে দেখা গেল বেশ কিছু প্রতিমার কাঠামো। যার জেরে ওই ঝিলের জলও নোংরা হয়েছে। নিজেদের এলাকায় জলাশয়ের ওই হাল দেখে সরাসরি পুরসভার পার্ক ও উদ্যান দফতরে অভিযোগ জানান এলাকার একাধিক বাসিন্দা।

পুরসভা সূত্রের খবর, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অভিযোগ ঠিক। কিন্তু এই হাল কেন? কেন সময়ে তা সাফ করা হয়নি? এ নিয়ে চাপান-উতোর চলে দিনভর। এমনকি, পরিবেশ দফতরের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারও ওই ঘটনার কথা শুনে বলেন, ‘‘এটা ঠিক হয়নি। দ্রুত যাতে ওই জলাশয় থেকে কাঠামো তোলা হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ সন্ধ্যায় পুরসভার এক অফিসার জানান, বরোর ইঞ্জিনিয়ারদের এ দিনই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, দুর্গা প্রতিমা ভাসানের পরে কাঠামো জলে পড়ে থাকা নিয়ে বারবার অভিযোগ আসে। এমন যাতে আর না হয়, সে জন্য এ বছর পুর প্রশাসন আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিমা ভাসানের দিনেই জল থেকে কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। এমনকি গঙ্গার যে সব ঘাটে ভাসান হয়, তা ওই দিনই তোলা হবে। কাঠামো তোলার জন্য লোকও নিযুক্ত করা হয়। সে প্রসঙ্গ তুলে পুরসভার উদ্যান দফতরের এক অফিসার জানান, কলকাতা পুর এলাকার যে সব জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন হয়, সেখানেও ওই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আর তার দায়িত্ব দেওয়া ছিল সংশ্লিষ্ট বরো প্রশাসনের উপরে। ভাসানের পরে কাঠামো তোলার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করার কথাও বলা হয়েছিল। ঠিকাদারেরা লোক দিয়ে তা পরিষ্কার করাবে। এর পরেও বেহালার শকুন্তলা পার্কের কাছে ওই ঝিলে কাঠামো তোলা হয়নি কেন, তার খবর নেওয়া হচ্ছে। ওই কাজে কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় বাম কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ উঠছে। যদিও কাউন্সিলর নীহার ভক্ত জানান, ওই ঝিলে অনেক প্রতিমা ভাসান হয়েছে গত তিন দিন ধরে। তা তুলে পাড়ে রাখলে অন্য প্রতিমা ভাসানের জায়গা হত না। আবার পাড়ে তুলেই তা ধাপায় পাঠানোও যায় না। শুকোতে এক দিন সময় লাগে। সে সব অসুবিধার জন্য জলেই ফেলে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সব কাঠামো তুলে ঝিল পরিষ্কার করে দেওয়া হবে বলে জানান নীহারবাবু। শুধু শকুন্তলা পার্কের ওই ঝিল নয়, শহরের আরও কয়েকটি জলাশয়ে কাঠামো না তোলার অভিযোগও এসেছে। ওই অফিসার জানান, সংশ্লিষ্ট বরোর ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে রাতের মধ্যেই সব কাঠামো তুলে ফেলার ব্যবস্থা করতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Immersion Structure Complaint KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE