Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Jadavpur University

ভোটে যাদবপুরের কর্মীদের ডাক, কাজ বন্ধের আশঙ্কা

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কাজে কলেজের অধ্যক্ষ-সহ শিক্ষকদের নিয়োজিত করা নিয়ে বিতর্ক চলছেই।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। ফাইল চিত্র।

মধুমিতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৭
Share: Save:

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কাজে কলেজের অধ্যক্ষ-সহ শিক্ষকদের নিয়োজিত করা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ নিয়ে মাথাচাড়া দিল নতুন বিতর্ক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসার গৌরকৃষ্ণ পট্টনায়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ থেকে নির্বাচনের কাজ করার জন্য যত কর্মীকে বাছা হয়েছে, তাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে গেলে মার্চ মাসে ঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে ফিন্যান্স অফিসার জানিয়েছেন, ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ নির্বাচনের কাজের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে কর্মীদের যেতে হবে। এর প্রভাব পড়বে ক্যাশ এবং পে সেকশনের কাজে। কারণ, ওই দুই সেকশনের প্রায় সকলকেই জেলা নির্বাচনী অফিসারের তরফ থেকে প্রশিক্ষণে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এর ফলে ক্যাশ কাউন্টার খুলে রাখা এবং ঠিক সময়ে বেতন দেওয়া কোনওমতেই সম্ভব হবে না। তাই উপাচার্যের কাছ থেকে সম্মতি নিয়ে ২৩ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাশ কাউন্টার বন্ধ রাখা হবে। মার্চ মাসে বেতনও মাস পয়লায় হবে না। হবে ৩ মার্চ। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফি-সহ বিভিন্ন রকম ফি জমা দেওয়ার পর্ব চলে। ক্যাশ কাউন্টার দু’দিন বন্ধ থাকলে তা বিঘ্নিত হবে বলেই পড়ুয়াদের অধিকাংশের মত।

রাজ্যের কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষকদের ভোটে যে ধরনের কাজের জন্য ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বৃহস্পতিবারই কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের নির্বাচনী কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) প্রতিনিধিরা। অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দফতরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন অধ্যক্ষ। ওয়েবকুটার প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি যতটুকু পারবেন করবেন। যে অধ্যক্ষেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন, তাঁদের অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরদের ভোটের ডিউটি দেওয়া হবে না। তাঁরা যেন প্রশিক্ষণেও না যান। শো-কজ়ের চিঠি এলে তা যেন অতিরিক্ত জেলাশাসকের গোচরে আনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE