প্রতীকী চিত্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে রাজ্যের বিভিন্ন জেল থেকে বিচারাধীন বন্দিদের জামিন দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলবন্দি অভিযুক্তেরা জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন। কৃষ্ণনগর জেলে বন্দি থাকা এমনই এক অভিযুক্ত গত ১ এপ্রিল জামিনে ছাড়া পেয়েই ফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে শুক্রবার ধরা পড়েছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশের হাতে। শনিবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি শুভেন্দু ঘোষ জানান, সুমন ছেত্রী নামে ওই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
লকডাউন কার্যকর করতে শুক্রবার রাস্তায় টহল দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সুমনকে রাস্তায় দেখে লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় ধৃত পুলিশকে জানায়, তার নাম সুমন দে। সে সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা। সুমনের কথায় সন্দেহ হওয়ায় তার সম্পর্কে খোঁজ নেন পুলিশকর্মীরা। তখনই জানা যায়, তার নাম সুমন ছেত্রী। আদতে বেহালার কামারপাড়ার বাসিন্দা। মহেশতলা এলাকায় একাধিক মোটরবাইক চুরির ঘটনায় সে অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে অনেক মোটরবাইক উদ্ধার করা হয়েছিল। চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। ছাড়া পেয়ে সে কলকাতা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সেখানে চুরি করে ফের ধরা পড়ে।
পুলিশ জানায়, সুমনকে জেরা করে ও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে মজুত নম্বরে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই ফোনটি বেহালার শিশিরবাগান রোডের বাসিন্দা কৌশিক মিত্র নামে এক জনের। শুক্রবার সকালে কৌশিকবাবু একটি দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে ফোনটি তাঁর পকেট থেকে তুলে নেয় সুমন। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বেহালা থানা এলাকায় একটি ল্যাপটপ চুরির ঘটনাতেও সুমন জড়িত। তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে একটি জায়গা থেকে সেই ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, দীর্ঘ জেরায় সুমন জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে কলকাতা ছাড়ে সে। নদিয়ার
ধুবুলিয়ায় গিয়ে থাকতে শুরু করে। সেখানে গিয়ে মোটরবাইক চুরির অভিযোগে বমাল ধরা পড়ে। বিচারকের নির্দেশে তার ঠাঁই হয়েছিল কৃষ্ণনগর জেলে। সেখান থেকে ১ এপ্রিল জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি করে সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy