করোনাভাইরাসের সতর্কতায় দেশ জুড়ে জারি হয়েছে সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা। যে কোনও সময়ে বন্ধ হতে পারে উড়ান পরিষেবা। তেমন কিছু হলে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছে দেগঙ্গা এলাকার একাধিক পরিবার। পড়াশোনার সূত্রে বিদেশে থাকা সন্তানদের পরিবারও আতঙ্কিত।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পোল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ার কৌনাসে আটকে পড়েছেন মধ্যমগ্রামের নেতাজি নগরের বাসিন্দা এথিনা দাস। তাঁর মতো ১৮ জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী সে দেশে আটকে রয়েছেন। কিন্তু ওই দেশে ভারতীয় দূতাবাস নেই। তাই পোল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে এবং এ দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে বাড়ি ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন তাঁরা। আবেদনে এথিনারা জানিয়েছেন, করোনার কারণে বন্ধ কৌনাস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের হস্টেল ছাড়তে বলে দিয়েছেন। দেশে ফিরতে তাঁরা ১৮ মার্চ বিমানের টিকিট কেটেছেন। কিন্তু ওই দিন লিথুয়ানিয়া বিমানবন্দর থেকে কোনও উড়ান ছাড়বে না বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এথিনার বাবা প্রণব দাস বলেন, ‘‘মেয়েরা কান্নাকাটি করছে। ওদের কাছে কয়েক দিনের খাবার মজুত রয়েছে। সব দোকান বন্ধ, ফলে খাবার পেতেও সমস্যা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, ঘরে ফিরলেও নজরে রাখা হচ্ছে চিনের ইয়াং শহরে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া শাসন থানা এলাকার খড়িবাড়ির সাহাজিপাড়ার এক তরুণীকে। কোয়রান্টিনের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তা সত্ত্বেও তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।