Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

প্রথম দিনে খোলা দুই মসজিদ

এ দিন রাজ্যের সব থেকে বড় মসজিদ নাখোদা এবং টিপু সুলতান মসজিদ খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছে।

কড়াকড়ির প্রথম দিনে খোলা রইল নাখোদা মসজিদের দরজা। রবিবার।

কড়াকড়ির প্রথম দিনে খোলা রইল নাখোদা মসজিদের দরজা। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ০৫:৪৩
Share: Save:

সংক্রমণ রুখতে আজ, রবিবার থেকে আগামী ১৫ দিন আরও কড়াকড়ির পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রথম দিনে শহরের নাখোদা মসজিদ এবং ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদ খুলে রাখার অভিযোগ উঠল। তবে দু’টি মসজিদ খোলা থাকলেও সেখানে মাত্র কয়েক জন এ দিন নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সংক্রমণ রুখতে রাজ্য জুড়ে আংশিক লকডাউনে আরও কড়াকড়ি করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। জরুরি পরিষেবা ছাড়া আজ, রবিবার থেকে আগামী ১৫ দিন সব কিছুই বন্ধ রাখতে হবে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এ দিন রাজ্যের সব থেকে বড় মসজিদ নাখোদা এবং টিপু সুলতান মসজিদ খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছে। নাখোদা মসজিদের ট্রাস্টি নাসের ইব্রাহিম অবশ্য বলছেন, ‘‘মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ রাখা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও সরকারি নির্দেশিকা পাইনি। তাই সরকারি নিয়ম মেনে ৫০ জনেরও কম মানুষ এখন নমাজ পড়ছেন। একেবারেই ভিড় হচ্ছে না। গুটিকয়েক মুসলিম শারীরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে নমাজ পড়েছেন।’’ মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে কি না, তা জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ইমেল লিখেছেন নাসের। তাঁর কথায়, ‘‘মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে নাকি ৫০ জনেরও কম মানুষ নমাজ পড়তে পারবেন, তা জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ইমেল করেছি। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি। তাই বুঝতে পারছি না কী করব।’’

এ দিন ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদেও কয়েক জনকে নমাজ পড়তে দেখা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেখানকার ইমাম হারুণ রশিদ বলেন, ‘‘শনিবার ১২ জন নমাজ পড়েছিলেন। মসজিদের মধ্যে একটি গণশৌচালয় আছে। আশপাশের অনেকে সেটি ব্যবহার করেন। সে জন্য আমরা একটি গেট পুরোপুরি তালাবন্ধ করতে পারি না।’’ তিনি আরও জানান, লেনিন সরণির দিকে মসজিদের মূল দরজা বন্ধ রাখা আছে। শুধু মসজিদে দিনে পাঁচ বার আজান দেওয়া ছাড়া গুটিকয়েক মসজিদের কর্মীই এ দিন নমাজ পড়েছেন। বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।

যদিও কলকাতা খিলাফত কমিটির তরফে ফজলুর রহমান জানান, কড়াকড়ি নিয়ে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সবই বন্ধ থাকার কথা। মসজিদ এই তালিকার বাইরে নয়। তিনি বলেন, ‘‘করোনা-বিধি আমাদের কঠোর ভাবে মানতে হবে। ওই দু’টি মসজিদ যাতে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ রাখা হয়, সে বিষয়ে সেখানকার কমিটিদের সঙ্গে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE