একশো বিঘা জমির বস্তিতে বসবাস প্রায় ১৫ হাজার মানুষের। আর ওই ঘিঞ্জি কলোনিতেই এক মহিলার করোনা পজ়িটিভ মিলেছে। পরে আরও দুই বাসিন্দার মধ্যে এই রোগের উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। ওই ঘটনার পরে কিছুটা হলেও আতঙ্কে প্রশাসন। শনিবার রাত থেকে ই এম বাইপাস সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনির সব বাসিন্দাকে কার্যত গৃহবন্দি করে ফেলা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বস্তির পাশে টহল দিচ্ছে কমব্যাট ফোর্স।
পুরসভা সূত্রে খবর, ওই কলোনির বাসিন্দা প্রায় হাজার তিনেক মহিলা বাইপাস সংলগ্ন এলাকা-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন। শুধু ওই কাজেই নয়, কলোনির বাসিন্দাদের অনেকে আরও নানা কাজে আশপাশের এলাকা ছাড়াও কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যাতায়াত করেন। কলোনির এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এখানে সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো ঘর রয়েছে। ওই ছোট ছোট ঘুপচি ঘরে আবার একাধিক ভাড়াটেরও বাস। লকডাউনের পরে এখানে সামাজিক দূরত্ব-বিধি কোনও ভাবেই প্রয়োগ হয়নি। ঘুপচি ঘরে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকাই এখানকার রেওয়াজ।’’
এ রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলা-পুত্র ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেরই অধীনে নিউ গড়িয়ার একটি আবাসনের বাসিন্দা। দিন কয়েক আগে ওই কলোনির বাসিন্দা, স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মীর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, শনিবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পরেই তাঁর পরিবারের তিন জনকে কোয়রান্টিনে নিয়ে নেওয়া হয়।