Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

ফেরাল অন্যেরা, দগ্ধ শিশু ভর্তি পিজি-তে

লিলুয়ার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরের বাসিন্দা অবিনাশ গুপ্তের ছেলে অংশ বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে খেলছিল। সেই সময়ে দুধ গরম করে পাত্রটি ঘরে এনে রেখেছিলেন অবিনাশের স্ত্রী কবিতা। আচমকাই সেই পাত্রের উপরে বসে পড়ে অংশ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৪
Share: Save:

গরম দুধে ঝলসে গিয়েছিল তিন বছরের শিশুটির শরীর। অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় প্রাক্তন এক কাউন্সিলরের গাড়িতে চেপেই সন্তানকে নিয়ে বড়বাজার এলাকার হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা হয়নি। লকডাউনের শহরে কোন হাসপাতালে গেলে সন্তানের চিকিৎসা হবে তা ভেবেও কূলকিনারা পাননি দম্পতি। শেষে বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই ভর্তি রয়েছে শিশুটি।

লিলুয়ার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরের বাসিন্দা অবিনাশ গুপ্তের ছেলে অংশ বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে খেলছিল। সেই সময়ে দুধ গরম করে পাত্রটি ঘরে এনে রেখেছিলেন অবিনাশের স্ত্রী কবিতা। আচমকাই সেই পাত্রের উপরে বসে পড়ে অংশ। অবিনাশ বলেন, ‘‘ছেলের চিৎকার শুনে এসে দেখি ওর পিঠ, পা সব ঝলসে গিয়েছে। কোনও চিকিৎসক পাচ্ছিলাম না। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও মিলছিল না। শেষে এক বন্ধুকে ফোন করি।’’ বড়বাজারের বাসিন্দা রবি ওঝা নামের অবিনাশের ওই বন্ধু জানান, তিনিও দুই-তিন জায়গায় ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাননি। সেগুলি অন্য জায়গায় রোগী নিয়ে গিয়েছিল। রবি বলেন, ‘‘লিলুয়ার এক কাউন্সিলরকে চিনতাম। কিন্তু ওঁর ফোন নম্বর ছিল না। শেষে ফেসবুক থেকে নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করি।’’

ঘটনাটি জেনে ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্র তৎক্ষণাৎ নিজের গাড়িটি পাঠিয়ে দেন। তাতে চেপেই ছেলেকে নিয়ে প্রথমে বড়বাজারের একটি হাসপাতালে যান অবিনাশেরা। চিকিৎসা না পেয়ে সেখান থেকে তাঁরা যান ওই এলাকারই আর একটি ট্রাস্ট পরিচালিত হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় শিশুটিকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলা হয়। অবিনাশ বলেন, ‘‘রাত ১০টা বেজে গিয়েছিল। লকডাউনের শহরে কোথায় গেলে চিকিৎসা পাব বুঝতে পারছিলাম না।’’ কৈলাসের এক পরিচিতের থেকে খবরটি জানতে পারেন এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বার্ন ইউনিটের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে শিশুটির ভর্তির ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি আপাতত সুস্থ রয়েছে।

আরও পড়ুন: পথে ফেলে যাওয়া অচৈতন্য প্রৌঢ়ের মৃত্যু

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown S.S.K.M
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE