এমন ভিড় ঠেকাতেই প্রস্তুতি চলছে মেট্রোয়। ফাইল চিত্র
লকডাউন উঠে গেলেও করোনা-আবহ থেকে যাবে ধরে নিয়েই পরিষেবা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রো ভারতীয় রেলের অধীন হওয়ায় রেল মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। যদিও কাল, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে দেশ জুড়ে রেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ট্রেন চালু করলেও যাত্রী পরিষেবা আস্তে আস্তে চালু হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন পরিষেবা চালু হতে পারে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফের শুরু হলে সতর্কতা বজায় রেখে গণপরিবহণও চালু করার বিষয়টি ভাবা হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে হঠাৎ কোনও সরকারি নির্দেশ জারি হলে পরিষেবা শুরু করে দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রোকর্তারা। সেই কারণেই মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ থেকে টোকেন কেনা বা ট্রেনে চড়া— সব কিছু নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
ওই পরিকল্পনা অনুসারে, স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি টোকেন কেনার কাউন্টার পৃথক করা হচ্ছে। দু’টি লাইনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে কখনওই পাশাপাশি দু’টি কাউন্টার খোলা হবে না। মাঝে একটি করে কাউন্টার ছেড়ে রাখা হবে। যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রেও থাকবে ভিড় এড়ানোর কড়াকড়ি। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পথে ঘেঁষাঘেঁষি করে যাতায়াত করা যাবে না বলে মেট্রো সূত্রের খবর। প্রয়োজনে গেটের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বার কোডে’ ধাঁধা, রেশন পেতে সমস্যা কলকাতাতেও!
যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময়ে স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ট্রেনের কামরায় যাত্রীরা যাতে দূরত্ব-বিধি মেনে যাতায়াত করেন, সে কথা মাথায় রেখে তাঁদের বসার এবং দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা পৃথক ভাবে রং দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে টোকেন ধোয়ারও। প্রস্তুতি হিসেবে স্টেশন ধোয়ামোছার পাশাপাশি রেকগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। সেই কাজ চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও।
তবে শেষ পর্যন্ত কবে মেট্রো পরিষেবা আবার শুরু হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতির উপরে। কলকাতা-সহ দেশের ছ’টি বড় শহরে সংক্রমণের হার এখন ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার দিকেও তাকিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিকল মোবাইল-ল্যাপটপ সারাতে না পারায় ভোগান্তি লকডাউনে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy