পারিবারিক সমস্যার মধ্যে ঢুকে খবরদারি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সালিশি করতে এসে ওই কাউন্সিলর তাঁদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন বলেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন পরিবারের এক পক্ষ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়া থানার আড়িয়াদহে।
যদিও কাউন্সিলরের দাবি, পুরো বিষয়টিই মিথ্যা।
পুলিশ সূত্রের খবর, আড়িয়াদহে এক কাঠা জমির উপরে দীপালি লাহিড়ী নামের এক ব়ৃদ্ধার দোতলা বাড়ি রয়েছে। পাশেই তাঁর ভাইদের বাড়ি। দীপালিদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দিদির বাড়িতে আছেন। সারা বছরের চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য গত অক্টোবরে দোতলা বাড়িটি বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যক্তি তাপস সিংহরায়কে।
অভিযোগ, তাপসবাবুকে ক্রমাগত বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন দীপালিদেবীর ভাইয়েরা। ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে ঢোকার জন্য তাপসবাবুর কাছে আদালতের অনুমতিও রয়েছে। তা জেনেও ওরা ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলরও ওঁদের মদত দিচ্ছিলেন।’’ রবিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধা ও তাঁর দিদি-বোনঝিকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে যান তাপসবাবু। দীপালিদেবীর অভিযোগ, সে সময়ে ভাইদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। তখনই কামারহাটি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিত দাস দলবল নিয়ে এসে তাপসবাবুকে মারতে থাকেন। বাধা দিতে গেলে বোনঝির শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধা।
যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে অমিতবাবু বলেন, ‘‘আমি কেন পারিবারিক অশান্তির মধ্যে থাকতে যাব? এক বার চেষ্টা করেও সমাধান করতে না পেরে আইনের পথে যেতে বলেছিলাম।’’ তিনি আরও দাবি করেন, রবিবার দীপালিদেবীরা বাড়িতে ঢুকতে এসে এক ভাইপোর স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। খবর পেয়ে তিনি তা থামাতে এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy