মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল আদালত। রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সমাজমাধ্যম থেকে সংবাদমাধ্যম— মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন কৌস্তভ। তাঁকে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২২২ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সুকুমার রায় তাঁকে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২২৩ ধারায় ডেকে পাঠিয়ে বক্তব্য শুনবে।
সম্প্রতি কৌস্তভের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল টালিগঞ্জ থানাতেও। অভিযোগ, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বেলাগাম আক্রমণ’ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন কৌস্তভ। সে বারও দীপকের লেখা বইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ তিনি খোঁচা দেন মমতাকে। ঘটনাক্রমে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
মধ্যরাতে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে হাই কোর্টে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এফআইআর-এর ওপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:
জামিন পাওয়ার পরও রাজ্য সরকারকে বিঁধে মাথা মুড়িয়ে নেন কৌস্তভ। ঘটনাক্রমে তিনি এখন বিজেপিতে।