উত্তর সিকিমে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। ধসে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলার পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। টানা তিন দিন ধরে আকাশপথে উদ্ধারকাজ চালিয়েও শুক্রবারও সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখনও হেলিকপ্টারে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ চলছে।
মঙ্গলবার থেকে আকাশপথে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ধস কবলিত উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটক, সেনা এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল। তাই বার বার উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে বায়ুসেনা তাদের কর্তব্যে অবিচল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে সিকিমের পকিয়ং গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরে নামে সেনার হেলিকপ্টার। এমআই ০২, এমআই ৩৯ এবং এমআই ৪৯-এর মতো অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মোট ৮০ জনকে মঙ্গনের ছাতেন-সহ একাধিক বিপর্যস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ৮০ জনের মধ্যে ৬৩ জন পর্যটক এবং ১৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয়ের কবলে পড়ে যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, পর্যটকদের সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টের বাসে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর থেকে গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়, পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে গ্রিনফিল্ড বিমানবিন্দরে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। তবে শনিবার আকাশপথে উদ্ধারকাজ বন্ধ থাকবে। এ বার হেলিকপ্টার ব্যবহার হবে ধস কবলিত এলাকাগুলোয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর জন্য। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানোর কাজ করবে বায়ুসেনা। এখনও যাঁরা উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন, তাঁদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে সিকিম সরকার।