নবান্ন অভিযানে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। চন্দন গুপ্ত নামে ৪০ বছর বয়সি ওই বিজেপি কর্মীকে আগামী ১৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর এবং বিশৃঙ্খলা তৈরিতে চন্দনের কী ভূমিকা ছিল, ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত ছিলেন, সে সব খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে চন্দনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অন্য দিকে, জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে ওই দিন বিজেপির হাজার হাজার অনুগামী মিছিলে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তের নাম এফআইআর-এও নেই। অথচ তিন দিন পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেল বিজেপি কর্মী। উনি কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেন না। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি হয়েছিল।’’ সরকারি আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন, অভিযুক্ত-সহ বাকিরা বার বার বলা সত্ত্বেও হাই কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। ডোরিনা ক্রসিংয়ে ইট রাখা থাকে না। তাঁরাই ইট সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। ওই কনস্টেবলকে যে ভাবে মারা হয়, তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। হেলমেট ভেঙে দেওয়া হয়। তিন দিন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী বার বার দাবি করেন, সকলে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলেন। বেছে বেছে তাঁর মক্কেলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পর ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের তরফে আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত হেফাজতের আবেদন করা হলেও শেষ পর্যন্ত ১৫ তারিখ অবধি হেফাজত হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর। উল্লেখ্য, ধৃত চন্দন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা। মঙ্গলবার কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিনের বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখে চন্দনকে শনাক্ত করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ (১), ১২১ (২) এবং ৩ (৫) ধারায়।