Advertisement
E-Paper

করোনা ও প্রদাহের সাঁড়াশি আক্রমণ সামলে জয়ী শিশু

হৃদ্‌যন্ত্র কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বোঝার জন্য এনটি প্রো বিএনপি পরীক্ষা করানো হয়। সাধারণত মানুষের শরীরে এনটি প্রো বিএনপি-র মাত্রা হল ৩০০-৪০০। শিশুটির ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৩ হাজার। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০২:২১
করোনা-প্রদাহের জোড়া হানা সামলে জয়ী শিশু। ফাইল ছবি।

করোনা-প্রদাহের জোড়া হানা সামলে জয়ী শিশু। ফাইল ছবি।

প্রদাহের ঝড়ে কাবু হলেও হারেনি একরত্তি শিশুটি। কোভিডের সঙ্গে ২৫ দিন লড়াই শেষে জয়ী হয়ে ৫০ দিনের শিশু হাসি ফিরিয়ে আনল মা এবং চিকিৎসকদের মুখে।

দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে গত অগস্টে ওই শিশুকন্যার জন্ম দেন সোনালি হাজরা। সাত দিনের মাথায় মা এবং সদ্যোজাতকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। দু’দিন পরে জ্বরে আক্রান্ত হয়

শিশুটি। পরবর্তী ১৩ দিনে দু’টি হাসপাতাল ঘুরে গত ৫ সেপ্টেম্বর আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালের নিওনেটাল বিভাগে ওই শিশুকন্যাকে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ভর্তির সময়ে প্রবল শ্বাসকষ্ট, শক সিন্ড্রোমের পাশাপাশি শিশুটির শরীরে র‌্যাশ (ছোপ ছোপ দাগ) বেরিয়েছিল। রক্তাল্পতাতেও ভুগছিল সে।

বৃহস্পতিবার গত পঁচিশ দিনের লড়াই প্রসঙ্গে ওই বেসরকারি হাসপাতালের নিওনেটাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুমিতা সাহা জানান, শিশুটির কোভিড আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি। তার করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হলে দেখা যায় দেহে কোভিডের দোসর হিসেবে রয়েছে প্রদাহ ঝড়। যার ফলে তার হৃদ্‌যন্ত্রের উপরে চাপ পড়ে এক সময়ে তা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন:দিনে আক্রান্ত কত, বিস্তর ফারাক সরকারি দুই তালিকায়​

প্রথম দফায় পাঁচ দিন ভেন্টিলেশনে কাটানোর পরে দ্বিতীয় বার তাকে ভেন্টিলেট করতে হয়। শেষ পর্যন্ত শিশুটি সুস্থ হয়ে ওঠে। এ দিন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় শিশুটিকে। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে আদর করতে দেখা যায় সোনালিকে।

হৃদ্‌যন্ত্র কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বোঝার জন্য এনটি প্রো বিএনপি পরীক্ষা করানো হয়। চিকিৎসক সুমিতা জানান, সাধারণত মানুষের শরীরে এনটি প্রো বিএনপি-র মাত্রা হল ৩০০-৪০০। শিশুটির ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৩ হাজার।

আরও পড়ুন:ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো হয়তো আগামী সপ্তাহেই

প্রদাহ-সূচক পরীক্ষায় ফেরিটিন ছিল ১৫ হাজার। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এক জন প্রাপ্তবয়স্কের মতোই ফেরিটিন ছিল শিশুটির। সাধারণত শিশুরা কোভিড আক্রান্ত হলেও এত গুরুতর অসুস্থ হয় না। সে দিক থেকে ঘটনাটি ব্যতিক্রম। এ রকম প্রদাহ চট করে দেখা যায় না।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২

• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Corona Coronavirus COVID-19 Child
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy